নেত্রকোনায় নিজ কন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ এনে লম্পট পিতার বিরুদ্ধে দুর্গাপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভুগীর মা। লম্পট আলাল উদ্দিন উপজেলার ফারাংপাড়া গ্রামের বাসিন্ধা।
মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) গভীর রাতে মামলাটি দায়ের করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, দিনভর ঘুরাঘুরি ছাড়া অন্য কোন পেশা না থাকলেও লম্পট আলাল উদ্দিনের দুই স্ত্রী রয়েছেন। দুই স্ত্রীর মধ্যে প্রথম স্ত্রীর চার সন্তান। দ্বিতীয় স্ত্রীর দুই সন্তান।
প্রথম স্ত্রীর তৃতীয় সন্তানকে গত বছরের ১৯ অক্টোবর গলায় ছুড়ি ধরে ধর্ষণের পর কাউকে কিছু বললে ছোট ভাই সহ তাকে হত্যার হুমকি দেয়।
এদিকে লজ্জায় এবং ভয়ে কাউকে কিছু না বললেও মেয়েটির গর্ভধারণ হয়ে যায়। কিন্তু অস্বাভাবিকতা ও ঋতুস্রাব না হওয়ায় মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় গোপনে। এরপর গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি পরিস্কার হয়।
পরবর্তীতে ময়মনসিংহের একটি ক্লিনিকে নিয়ে মেয়েকে গর্ভপাত করিয়ে আনে লম্পট স্বামী। পাশাপাশি ভয় দেখায়।
মামলার অভিযোগে বাদী লিখেন, তিনি তার বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। বড় ছেলে বাপের মতোই লম্পট হওয়ায় দুই ছেলে মেয়ে নিয়ে থাকেন।
আসামি অত্যন্ত দুশ্চরিত্র, লম্পট ও খারাপ চরিত্রের লোক। সে আমার (১৫) কিশোরী মেয়েকে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে যৌন হয়রানি এবং কুপ্রস্তাব দিয়া আসিতেছে।
আমার মেয়ে কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় নরপশুর মতো আমার মেয়েকে মারধর করিয়া তাহার শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করিয়াছে।
ওইদিন বসত বাড়িতে আমার মেয়ের শয়ন কক্ষে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকাকালীন সঙ্গোপনে আমার মেয়ের শয়ন কক্ষে প্রবেশ করিয়া মেয়ের শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়।
তাৎক্ষনাৎ আমার মেয়ে ঘুম থেকে জেগে উঠিয়া চিৎকার দিতে চাইলে মেয়ের মুখ চাপ দিয়া ধরে শারীরিক মেলামেশার কথা বলে। পরে হত্যার হুমকি দিয়ে তার হাতে থাকা ধারালো ছুড়ি আমার মেয়ের গলায় ঠেকাইয়া আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ঐ দিনের পরে এরকম ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এমন পৈশাচিক কর্মকাণ্ড করে। এরপর মেয়ের গর্ভপাত করতে এবং লুকিয়ে রাখতে গিয়ে সময় ক্ষেপণ হয়। কিন্তু আবারও সে এই ঘটনা ঘটাতে চাইলে এক পর্যায়ে মেয়ে সবাইকে জানিয়ে দেয়। পরিবারের ও আত্মীয় স্বজন জেনে গেলে এলাকায় এ নিয়ে শালিস দরবার করতে বলে।
এরপর গণ্যমান্য ব্যক্তিরা তা না করে আইনের আশ্রয় নেয়ার পরামর্শ দেয়ায় মামলা করা হয় বলে এজাহারে প্রকাশ করা হয়।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ওসি মাহমুদুল হাসান মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামি ধরার চেষ্টা চলছে।