নেত্রকোনায় সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে পুলিশের কাছ থেকে লুট হওয়া একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সেইসাথে বিভিন্ন এলাকা থেকে এ নারীসহ মোট ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ক্ষুদে বার্তায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন সেনাবাহিনীর দায়িত্ব প্রাপ্ত মেজর জিসানুল হায়দার। পরদিন শনিবার দুপুরে হোয়াটসপে প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে আটকদের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
আটকরা হলেন, পূর্বধলা উপজেলার জামাইকোনা গ্রামের মৃত তালেব আলী সরকারের ছেলে মো. আতাউর রহমান (৩৯), জালশুকা গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে মো. শফিকুল ইসলাম (২৩), গোহালাকান্দা গ্রামের আসাদুজ্জমানের (ডানু) ছেলে মো. সাব্বির হোসেন খান (১৮), ময়মনসিংহের গোরীপুর উপজেলার ময়লাকান্দা গ্রামের ছোটন সরকারের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌস (২৬) ও শ্যামগঞ্জের জালশুকার আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. আমিনুল ইসলাম (২৫)। শুক্রবার পূর্বধলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনার খবরে ইতিমধ্যেই সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে সাধারণ মানুষের মাঝে। এতে দুষ্কৃতিকারীরা নিজেদের কাছে ছিনতাই করা অবৈধ অস্ত্র রাখতে অসস্থি বোধ করে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) নামাজ পড়ার ছেলে পুর্বধলার জালশুকা কুমুদগঞ্জ জামে মসজিদে অস্ত্র রেখে যায়।
শপিং ব্যাগে মোড়ানো পড়ে থাকা ব্যাগে অস্ত্র পেয়ে সেনাবাহিনীকে খবর দিলে সেখান থেকে আগ্নেয় অস্ত্রটি উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী। ফেলে যাওয়া ব্রাজিলিয়ান ব্র্যান্ডের একটি নাইন এম এম পিস্তলটি গত ৪ আগস্ট পূর্বধলায় পুলিশের কাছ থেকে লুট হয়েছিলো।
পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে সেনা বাহিনীর মেজর জিসানুল হায়দার জানান, দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে নেত্রকোনা জেলা পুলিশের কাছ থেকে ১০ টি নাইন এমএম পিস্তল, ২৬ টি ম্যাগাজিন, ৪২০ রাউন্ড পিস্তল এ্যমোনিশন, ৪০ রাউন্ড রাইফেল এ্যমোনিশন এবং ৩২টি টিয়ার গ্যাস শেল পুর্বধলার শ্যামগঞ্জ বাজার থেকে ৪ আগস্ট লুট হয়। লুটকৃত অস্ত্র বারুদ এবং অন্যান্য অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের লক্ষ্যে গত ৪ সেপ্টেম্বর সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে বিজিবি, পুলিশ, র্যাব এবং আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে যৌথ অভিযান শুরু হয়। এরই প্রেক্ষিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর নেত্রকোনা সেনা ক্যাম্পের ক্যাপ্টেন সাজিদ বিন রওশনের নেতৃত্বে এবং ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জীত সরকারের উপস্থিতিতে রাতভর পূর্বধলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অস্ত্র লুটের সাথে জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়। পূর্বধলা সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার লেফটেন্যান্ট এ এন এম আকিবের নেতৃত্বে আটকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অস্ত্র লুটের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানায়।