নেত্রকোনায় আর্ন্তজাতিক শব্দ সচেতনতা দিবসে উচ্চসরে শব্দ করে অনুষ্ঠানাদি না করার প্রতি আহŸান জানানো হয়। পাশাপাশি নানান সভা সেমিনারেও যতখানি প্রয়োজন ততখানি জুরে মাইক ব্যবহারের প্রতি সচেতন হতে সকলের প্রতি আহŸান জানান ডিসি। বুধবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘সুরক্ষিত শ্রবণ, সুরক্ষিত জীবন’ ¯েøাাগানে নেত্রকোনায় আন্তর্জাতিক শব্দ সচেতনতা দিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বিত ও অংশীদারিত্বমূলক প্রকল্পের আওতায় দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রশাসন, পরিবেশ বান্ধব বিভিন্ন সংগঠন, পুলিশ, মটরযান শ্রমিক নেতা ও জন প্রতিনিধিসহ সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন।
নেত্রকোনা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচাল মো. আবু সাইদের পরিচালনায় দিবস সংশ্লিষ্ট তথ্য চিত্র উপস্থাপন করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়াজ মাখদুম। পরে পৌর মেয়ার নজরুল ইসলাম খান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. মশিউর আলম, জেলা অটো রাইসমিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন, মটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক সালতু মিয়ার বক্তব্য শেষে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ দিবসের গুরুত্বসহ শব্দ দুষণে সমস্যগুলো তুলে ধরে সকলকে সচেতন হতে আহŸান জানান।
সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, শুধুমাত্র সার্টিফিকেটধারী শিক্ষিত হলে চলবে না। মানুষকে আচরণগতভাবে অনেক বেশি শিক্ষিত হতে হবে। উন্নত দেশে শব্দ নেই। গাড়ি চলে সাংকেতিক চিহ্ন দেখে। আমাদের দেশে এই অভ্যাস করতে হবে। নিজের জন্য অন্যের কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা সেটা আগে ভাবতে হবে। এর জন্য সমন্বিত উদ্যোগ নিতে জনপ্রতিনিধি, মটরযান মালিক ও শ্রমিক, পুলিশসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
একইসঙ্গে উচ্চস্বরে যাতে কোনো সভা সেমিনারে কারো বিরক্তির কারণ নিজে না হোন সেটিও আয়োজকদেরকেই দায়িত্ব সহকারে ভাবতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, গান-বাজনা করা যাবে তবে সেটি অন্যকে বিরক্ত করে নয়। প্রশাসন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। কিন্তু নিজ থেকে সচেতন হলে মোবাইল কোর্টের প্রয়োজন পড়ে না। দিবসটি এ জন্যই পালন করা প্রয়োজন যাতে মানুষের মাঝে সচেতনতাবোধ সৃষ্টি হয়।