নেত্রকোনায় অটোরিকশা সিএনজি চালকদের সাথে ট্রাফিক পুলিশের দ্বন্দ্বের জেরে মঙ্গলবার সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে রাখে শ্রমিকরা।
এ ঘটনায় সড়কে সকল অটো রিকশা সিএনজি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মামলা সহ ট্রাফিকের প্রত্যাহার চেয়ে ঘন্টাখানেক অবরোধ করার পর পৌর সভার মেয়রের দেয়া আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয়।
জানা গেছে, গতকাল সোমবার দুপুরে নেত্রকোনা-কেন্দুয়া সড়কের মীর মাজু তেলের পাম্পের সামনে তিনটি সিএনজিকে মামলা দেয় আকবর হোসেন নামের ট্রাফিক। পরে সিএনজি গুলো ছিনিয়ে নিয়ে শ্রমিকরা ট্রাফিককে মারধর করলে উর্ধতনরা গিয়ে মারধরের শিকার ট্রাফিককে উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় রাতে আহত পুলিশ বাদী হয়ে চালকশ্রমিকদের ১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করে।
পরবর্তীতে আজ মঙ্গলবার মামলা তুলে নেয়াসহ ট্রাফিকের ইন্সপেক্টর মৃদুল রঞ্জন দাস ও মামলার বাদী আকবর হোসেনের প্রত্যাহার চেয়ে অবরোধ কর্মসূচী করে।
এ ঘটনায় পুরো সড়ক জুরে বিশৃঙ্খলাসহ জনভোগান্তির সৃষ্টি হলে পুলিশ জনপ্রতিনিধি আলোচনা করে সকলের পক্ষ থেকে নেত্রকোনা পৌর মেয়র পুলিশ সুপারের বরাত দিয়ে দুজনের প্রত্যাহারের আশ্বাস দিলে অবরোধকারীরা তাদের অবরোধ তুলে নেয়।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি আবুল কালাম জানান, ১২ জনকে আসামী করে গতকাল মামালা হয়েছিল।
কাউন্সিলর হেলাল শেখের ভাই শ্রমিক নেতা বিল্লাল শেখ ও আনোয়ার হোসেন জানান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মৃদুল রঞ্জন দাস আসার পর থেকে সিএনজি অটোরিকশা অযথা মামলা দেয়। অর্থ উত্তোলন করে বারবার। অনেকে গাড়ি চালানো বন্ধ করে দিয়েছে। তাদেরকে প্রত্যাহার করার দাবী জানানো হয়।
এই পরিপ্রেক্ষিতে পৌর সভার মেয়র নজরুল ইসলাম খানের মধ্যস্থতায় পুলিশ প্রশাসন পৌর মেয়র তাদের সাথে কথা বলে দুই জনকে প্রত্যাহার করার ঘোষণা দেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল শাহ শিবলী সাদিক জানান, যেহেতু গতকালের ঘটনা নিয়ে একটা বিতর্কের সূচনা হয়েছে তাই তাদের দুজনকে প্রত্যাহার করা হবে।
সেইসাথে কি কারণে এই বিতর্ক সে বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। এই তদন্ত কমিটির প্রাপ্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।