নেত্রকোনার বারহাট্টায় বখাটের দায়ে কুপে স্কুলছাত্রী মুক্তা হত্যার ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামিকে আটক করেছে পুলিশ। গত মঙ্গলবার বিকালে বারহাট্টা উপজেলার বাউসি ইউনিয়নের প্রেমনগর গ্রামে হত্যার ঘটনার পর থেকে অভিযান চালিয়ে বুধবার বেলা তিনটার মধ্যে আটক করেছে অভিযুক্ত কাউসারকে। কাউসার ওই গ্রামের শামছুর রহমানের ছেলে। বুধবার বিকাল সোয়া চারটার সময় এক জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস বিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ।
এসময় তিনি জানান, পুলিশ এবং গোয়েন্দা সংস্থার যৌথ অভিযানে ওই গ্রামের একটি জঙ্গল থেকে কাউসারকে আটক করে। কাউসারের জন্ম সনদ অনুযায়ী ১৮ বছর গত মঙ্গলবার (২ মে) পূর্ন হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।
এসময় ব্রিফিংয়ে তিনি আরও জানান, গত বেশ কয়েক বছর ধরে মুক্তাকে উত্যক্ত করছিলো কাউসার। মুক্তা ওই গ্রামেরই জেলে পাড়ার কীর্ত্তণ বর্মনের মেয়ে। সে প্রেমনগর ছালিপুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে দশম শ্রেনিতে পড়তো। স্কুলে যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময় প্রেম নিবেদন করে প্রত্যাক্ষাণ হয় কাউসার। এরপর ভাবে তাকে অন্য কারোর হতে দেবে না। এই পণ করে বারহাট্টা থেকে দা কিনে তাকে পূর্ব পরিকল্পনা মাফিক মঙ্গলবার স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে দা দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে পুলিশের কাছে এমন স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।
ব্রিফিংকালে অন্যান্যের মাঝে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) সাহেব আলী পাঠান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখ) মো. লুৎফর রহামন ও (সার্কেল) খালিয়াজুরী মো. রবিউল ইসলাম, ডিবির ওসি মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম, আব্দুল আহাদ খানসহ অন্যরা।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে নিহতের পরিবারের কাছে পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ নিজে গিয়ে নিহতের পরিবারের লোকজন গ্রামবাসী ও বাবা কীর্ত্তন বর্মনকে শান্তনা দেন। সেই সাথে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামী ধরার বিষয়ে ওয়াদা করে আসেন। এদিকে পুলিশের এএসপি লুৎফর রহমান জানান, মুক্তার বাবা বাদী হয়ে বারহাট্টা থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।