নেত্রকোনায় হাসপাতাল ও কমিউিনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবা সহজতর করার লক্ষ্যে কতৃপক্ষের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নেত্রকোনা সিভিল সার্জনের কক্ষে বেসরকারি সংগঠন বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘের উদ্যোগে এই সবা অনুষ্ঠিত হয়।
মূলত হাসপাতাল ভিত্তিক সেবা ও কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবা প্রাপ্তি সহজতর করার লক্ষ্যেই সমাজেরর বিভিন্ন স্তরের প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেছেন সিভিল সার্জন ডা: সেলিম মিঞা। মতবিনিমিয় সভায় নানা সংকট ও সমাধানের পথ তুলে ধরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নারী দলের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ প্রতিনিধি, সিভিল সার্জন অফিস ও আধুনিক সদর হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগণ অংশগ্রহণ মূলক আলোচনায় বক্তব্য রাখেন। শুরুতে জেলার স্বাস্থ্য সেবার সার্বিক ব্যবস্থা তুলে ধরে সভার উদ্দেশ্য আলোচনা করেন আয়েজন সংগঠনের কেন্দ্র ব্যবস্থাপক মৃনাল কান্তি চক্রবর্তী।
এসময় জেলার স্বাস্থ্য সেবার উর্ধ্বতন কর্মকর্তার সামনে সেবা প্রাপ্তির বিভিন্ন সময়ের প্রতিবন্ধকতাসহ সকল অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন নারী দলের রুমা আক্তার ও জাহানারা খাতুন, আমরা একাত্তর এর আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক বাচ্চু, জন উদ্যোগের ফেলো সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পাল, জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক সাংবাদিক আলপনা বেগম প্রমুখ।
অভিজ্ঞতা বিনিময়ে কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবার মান বৃদ্ধি সহ সার্বক্ষণিক সেবা প্রদান, হাসপাতালে দীর্ঘ লাইনের বিড়ম্বনা দূর করতে টিকিট কাউন্টার বৃদ্ধি, নারী ও শিশুদের অগ্রধিকার ভিত্তিতে সেবা প্রদান, দালালদের দৌরাত্ম হ্রাস, হাসপাতালে সকল ধরনের পরীক্ষার ব্যবস্থা করাসহ যুব বান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতের বিষয়ে মতামত প্রদান করা হয়। পরে কর্তৃপক্ষের পক্ষ হতে ইপিআই সুপারিন্টেন্ডেন্ট ফজলুল বারী কাজল সেবার বর্ণণা দেন।
জেলা সদর হাসপাতাল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা: মো: ইকরামুল হাসান মতামত তুলে ধরেন। জেলার অন্যন্য স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা: অভিজিত লৌহ বিশদ আলোচনা করেন। সর্বশেষ সকল আলোচনার সারমর্ম তুলে ধরে আগামীতে সকল প্রতিবন্ধকতা কমিয়ে স্বস্থ্যসেবা প্রদানের বিষয়ে আলোচনা করেন এবং সভার সমাপনী বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাঃ সেলিম মিঞা।
তাদের বক্তব্যে তৃনমুলের বিভিন্ন দাবি ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রæত সমস্যা সমূহ সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করেন। প্রতিটি হাসপাতালে এএনসি ও পিএনসি সেবা চালুর মাধ্যমে গর্ভবতী ও নারীদের সেবার মান উন্নয়ন সহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেন।