শুক্রবার, মার্চ ২৮, ২০২৫
21.7 C
Netrakona
শুক্রবার, মার্চ ২৮, ২০২৫
মূলপাতাঅন্যান্যনেত্রকোনায় হাজং সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি রক্ষায় কর্মশালা

নেত্রকোনায় হাজং সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি রক্ষায় কর্মশালা

রিফাত আহমেদ রাসেল

নেত্রকোনায় হাজং সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী দেউলি পৌষ উৎসব বিলুপ্তির কারণ ও সংরক্ষণের উপায় বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ জাদুঘর ও আদিবাসী কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় শুক্রবার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর আঁতুড় ঘর দুর্গাপুরের বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি দিনব্যাপ এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালার উদ্বোধন করেন বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি পরিচালক গীতিকবি সুজন হাজং। আদিবাসী কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থার সভাপ্রধান কবি মং এ খেন মংমং এর সভাপতিত্বে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধপাঠ করেন বাংলাদেশ জাতীয় হাজং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পল্টন হাজং।

এছাড়াও অন্যান্য মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন হাজংমাতা রাশিমণি মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য বিপুল হাজং, হাজং লেখক ও গবেষক হরিদাস হাজং, গাঁওমোড়ল ও চিত্রশিল্পী বিশ্বজিৎ হাজং রুপক, এম কে সি এম পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাসেল হাজং, ভালুকা ভালুকাপাড়া সেন্ট তেরেজাস উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনঞ্জুশ্রী হাজং, হাজং নারী নেত্রী সন্ধ্যা রাণী হাজং, শেফালী হাজং প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, বিভিন্ন আন্দোলনের ফলে হাজং সম্প্রদায়ের সংখ্যা, অর্থনৈতিক দুরাবস্তা কারণে হাজং সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি অনেকটাই বিলুপ্তি হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৫০ সালে এর পর থেকে দলে দলে দেশত্যাগ, নিজস্ব মাতৃভাষায় পড়াশোনা বা চর্চার সুযোগ না থাকা, প্রাচীন বাজার অর্থনীতির সাথে খাপ খাওয়াতে না পাড়া, পর্যাপ্ত গবেষণার ক্ষেত্র না থাকা হাজং সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি বিলুপ্তির অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন তারা।

এছাড়াও বক্তারা আরো বলেন, বর্তমানে সারা বাংলাদেশের প্রায় ২০ হাজার হাজং সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠী রয়েছে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপট আর জীবিকার টানাপোড়নে অনেকেই এখন নিজস্ব সংস্কৃতি আর ঐতিহ্য ছেড়ে বিদেশি সংস্কৃতিকে আগড়ে ধরছেন। এছাড়া অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর মাঝে শিক্ষার আলো অনেকটায় পৌঁছালেও এখনো হাজং সম্প্রদায় শিক্ষা থেকে কিছুটা পিছিয়ে।

এ সম্প্রদায়কে আরো তুলে ধরতে হলে শিক্ষার পাশাপাশি নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি এবং উৎসবগুলোকে নিয়মিত আয়োজনের তাগিদ দেন হাজং সম্প্রদায়ের নেতৃস্থানীয়রা।

এর মধ্যে হাজং সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব দেউলী, চরমাগা, মহিষাসুর বধ পালা সহ অন্যান্য সকল উৎসব নিয়মিত আয়োজন হলে চর্চার পাশাপাশি নিজেদের সংস্কৃতিও টিকে থাকবে বলে মনে করেন তারা।

 

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments