নেত্রকোনার কলমাকান্দায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত সহকারী শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণের (ফিক্সেশন) নাম করে অর্থ আদায়ের অভিযোগ ওঠেছে শিক্ষক নেতার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সাধারণ শিক্ষকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কলমাকান্দায় ১৭২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ও্ই বিদ্যালয়গুলোতে প্রায় সাত শতাধিক সহকারী শিক্ষক কর্মরত। শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে সরকার গত বছর ১৩ গ্রেডে উচ্চ ধাপে বেতন উন্নীত করার আদেশ জারি করেন। সম্প্রতি এ নিয়ে অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া শুররু হয়েছে। ১০ মে এর মধ্যে আবেদন জমা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষকরা জানান, কোন নির্বাচন ছাড়াই কলমাকান্দায় কমিটি গঠিত হয়। যেটিতে সাধারণ সম্পাদক করা হয় মো. বাবুল হোসেনকে। ফলে তিনি যা মন চায় করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে অবৈধভাবে বেতন নির্ধারণের (ফিক্সেশন) জন্য হিসাবরক্ষণ কার্যালয়ের খরচের কথা বলে জন প্রতি ৩০০ টাকা করে নিচ্ছেন।
শিক্ষকরা আরো জানান, বাবুল হোসেনসহ কয়েকজন শিক্ষক এর আগেও কয়েক মাস পূর্বে অনৈতিকভাবে টাকা আদায় করেছেন। স্থানীয় সাংসদ মানু মজুমদারকে সংবর্ধনার কথা বলে প্রতিটি বিদ্যালয়ে ¯িøপের টাকা থেকে ৫০০ / ১০০০ টাকা আদায় করেছেন। এটা খুবই লজ্জাজনক বিষয়।
তবে এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন মুঠোফোনে জানান, আমরা ফিক্সেশনের কথা বলে কোন টাকা আদায় করিনি। হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে খরচ থাকে সেটার জন্য যতৎসামান্য নিতে পারে। সংর্বধনায় টাকা আদায়ের বিষয়ে বলেন, আমাদের কমিটি নির্বাচিত হওয়ার পর এমপি সাহেবের সংবর্ধনায় শিক্ষকরা স্বপ্রণোদিত হয়ে খরচ করেছেন। তাদেরকে কোন টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি। আমাদের বিপক্ষে কয়েকজন অপবাদ রটাচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মাসুম খান বলেন, আমার অফিসে শিক্ষকদের ফিক্সেশনের নাম করে কেউ টাকা নিচ্ছেন তা জানা নেই। বেশ কয়েকজন শিক্ষক নেতা কিছু দিন আগে আমার কাছে এসেছিলেন সহকারী শিক্ষকদের সর্ব্বোচ স্কেলে বেতন করে দিতে। কিন্তু বলেছিলাম প্রায় ৮০০ শিক্ষকের বেতনের কাজ এই অল্প সময়ে করে দেয়া সম্ভব না।
এ ব্যাপরে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. ওবায়দুল্লাহ বলেন, অভিযোগটি আমি শুনেছি। এ ব্যাপারে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে দেওয়া হবে।