বন্যায় নেত্রকোনা জেলার কংস সোমেশ্বরী উব্দাখালি নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো প্লাবিত হয়ে চার উপজেলার মোট অর্ধলক্ষধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
নতুন করে সদর উপজেলা বিভিন্ন নিচু এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।
এদিকে কৃষি বিভাগের তথ্যমতে ১২ হাজার ২২৪ হেক্টর আমন আবাদ তলিয়ে গেছে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) সকাল থেকে রোদ উঠায় নদীগুলোর পানি কিছুটা কমলেও কংস পাড়ের পুর্বধলা উপজেলার নাটেরকোনা গ্রামের কালিদাস বাঁধ প্রায় ১০০ মিটার ভেঙে যায়। এতে একপাশের শহিদ মিয়ার ঘর পানিতে ভাসিয়ে নয়ে যায়। অপর প্রান্তে হযরত আলী ঘরটিও যায় যায় অবস্থায়।
অন্যদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙ্গে কিছু পানি সরলেও রেল লাইনের পাশের কালভার্ট বন্ধ করে পুকুর দেয়ায় নাটেরকোনা পুর্বপাড়ার পানি নামছে না।
ফলে প্রায় ওই এলাকার দুই শতাধিক পরিবার পানিমুক্ত হতে অনিশ্চিয়তার মধ্যে পড়েছে।
পানিবন্দী এলাকগুলোতে রান্না খাওয়া বন্ধ থাকায় অনেকে মুড়ি খেয়ে ক্ষুধা নিবারণ করছেন।
তবে রেলের জায়গায় ফিসারি দিয়ে কালভার্ট বন্ধ করে রাখার অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
আনিস, সুমন, আইয়ুব আলীসহ সকলের অভিযোগ গত ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে এই কালভার্টটি প্রভাব খাটিয়ে বন্ধ করে পুকুর দিয়েছেন জনৈক ব্যক্তি। যে কারণে পানি যাওয়ার পথ নেই। তাই তারা প্রতিবছর অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতায় বিপযর্স্থ জীবন কাটান।
এদিকে দুপুরে স্থানীয় প্রশাসনকে সাথে নিয়ে জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস এলাকা পরিদর্শন করে জানান, ৮০ জন আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে।
এছাড়া ৩০ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী থাকার কথা জানান। তিনি বলেন খাবার সহ সব ধরনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এসময় তিনি অপরিকল্পিত বেরিবাঁধ, খননে অনিয়ম এবং মানুষ সৃষ্ট প্রতিবন্ধকতা গুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে উল্লেখ করে বলেন অনাধিকার ভিত্তিতে যে বাঁধগুলো ভেঙ্গে বিচ্ছিন্ন সেগুলোর যোগাযোগ ঘটানো।