নেত্রকোনার দুই থানার ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ পিপিএম স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের কর্মস্থলে অন্য দুজনকে পদায়ন কার হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এক অফিস আদেশ হয়। শুক্রবার সকালে পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ স্বাক্ষরিত অফিস আদেশপত্রের সততা পাওয়া গেছে।
অফিস আদেশপত্র সূত্রে জানা গেছে, পূর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ রিয়াদ মাহমুদকে সদর সার্কেল অফিসে নিয়ে ওই থানায় নতুন ওসি হিসেবে শ্যামগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোহাম্মদ নূরুল আলমকে পদায়ন করা হয়।
একইভাবে দুর্গাপুর থানার ওসি বাচ্চু মিয়াকে জেলা পুলিশ অফিসে স্থানান্তর করে জেলা পুলিশ অফিসার ইন্সপেক্টর (ক্রাইম) মোঃ মাহমুদুল হাসানকে দুর্গাপুর থানার ওসি হিসেবে পদায়ন করা হয়।
এছাড়াও সদর সার্কেল অফিসের রুহুল আমিনকে শ্যামগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ করা হয়েছে। তবে কি কারনে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের শেষ সময়ে হঠাৎ এই রদবদল তার কোন কারণ বা ব্যাখ্যা জানা যায়নি।
তবে গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুরের সদর ইউনিয়নের কালিকাপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে থানা পুলিশের আয়োজনে ওপেন হাউজ ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে দুর্গাপুর থানার ওসি মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ। একই অনুষ্ঠানে মঞ্চে বিশেষ অতিথি হিসেবে রাখা হয় সদর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগ নেতা হ্নদয় আহমেদকেও। যা নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা কর্মীদের মাঝে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও স্থানীয় ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা গেছে ওসি মো. বাচ্চু মিয়া গাজীপুরের মেয়র জাহাঙ্গীরের ভাইসহ পতিত হাসিনার দলীয় বিভিন্ন লোকজনদেরকে অতিথি করে নিজ থানায় রাখতেন। অন্যদিকে পুর্বধলা থানার ওসিও সেচ্ছাচারি হয়ে ওঠেছিলেন কর্মস্থলে এমন তথ্য জানায় স্থানীয় ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা।
এ ব্যাপারে জানতে দুর্গাপুর থানার ওসি এবং সার্কেল অফিসারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তারা কল কেটে দিলেও পুর্বধলা থানায় ওসি হিসেবে সদ্য পদায়নকৃত সাবেক শ্যামগঞ্জ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোহাম্মদ নূরুল আলমের সাথে যোগাযোগ করে জানা গেছে, তিনি শনিবার নতুন কর্মস্থলে যোগ দিবেন। তথ্য দিয়ে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।