পুলিশ ও গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, গত সাত বছর আগে বিবাহে আবদ্ধ হন মাজেদা ও ঝোঁটন মিয়া। বিয়ের প্রায় তিন বছর পর ছেলে সন্তানের জন্ম হলেও পরে মারা যায়।
পরবর্তীতে আবারও সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা হন। স্বামী ঝোঁটন মিয়া কোনো কাজ কর্ম না করায় পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। একাধিকবার শশুর বাড়ি থেকে চলে আসলেও পারিবারিকভাবে মিমাংসাও করা হয়। ঘটনার দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে স্বামী গভীর রাতে বাড়ি ফিরলে দরজা খোলেনি মাজেদা। তারপর স্বামীও অন্য ঘরে গিয়ে ঘুমিয়ে যান। সকালে মাজেদার নিথর দেহ বসত ঘরের আড়ার সাথে গলায় রশি পেঁচানো অবস্থায় ঝুলন্ত দেখে পরিবারের লোকজন। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম বলেন, নিহতের পরিবারের লোকজন ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ নেওয়ার আবেদন করেছে। মরদেহ হস্তান্তরের আইনী কার্যক্রম প্রকৃয়াধীন।