পুকুর খনন করতে গিয়ে মিললো মর্টারশেল সদৃশ্য একটি লোহার বস্তু। ঘটনাটি ঘটেছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর সদর উপজেলার নলুয়াপাড়া গ্রামে। শনিবার বিকেলে স্থানীয় বাসিন্দা নাজিমুদ্দিন নামের এক ব্যক্তির পুকুর খনন করতে গিয়ে মাটিকাটা শ্রমিক আজিজুল ইসলাম এটি পান।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় নাজিমুদ্দিনের বাড়িতে পুকুর খননের কাজ করছিলেন মাটিকাটা শ্রমিক আজিজুল। দুপুরে তার ছেলে ভাত নিয়ে এসে খেলতে গিয়ে পুকুরের এক কোণে মটারশেলটি দেখতে পায়। পরে এটিকে তুলে তাদের বাড়ি নিয়ে গিয়ে কাটার সময় স্থানীয় এক প্রতিবেশী বাধা দেয়।
বোমা বলে জানালে আজিজুল তাৎক্ষণিক ওই লোহার মর্টারশেল নিয়ে সংশ্লিষ্ট নলুয়াপাড়া বিজিবি ক্যাম্পে যান। সেখানে বিজিবি সদস্যরা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দিলে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল কুদ্দুসের কাছে যায় আজিজুল। এরপর মেম্বার বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ মর্টারশেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি মেম্বার আব্দুল কুদ্দুস জানান, আমার কাছে আজিজুল এটি নিয়ে আসলে আমি চিনতে না পেরে দুর্গাপুর থানায় ফোন দিয়ে তাদের অবহিত করি।
দুর্গাপুর থানার ওসি শিবিরুল ইসলাম ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়েই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লম্বা ও গোল আকৃতির একটি বস্ত উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি এটি একটি মটারশেল। এ ব্যাপারে দুর্গাপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহামুদা শারমিন নেলি জানান, দুর্গাপুর থানা পুলিশ সদস্যরা একটি মটারশেল উদ্ধার করেছে। সেইসাথে থানায় সাধারণ ডায়েরি দায়ের হয়।
আমরা এ ব্যাপারে কোর্টে একটি আবেদন পাঠাবো। কোর্ট অনুমতি দিলে আমরা পুলিশ হেডকোয়ার্টারে লিখিত ভাবে জানিয়ে বোমা ডিসপোজাল ইউনিটের মাধ্যমে এটি নিষ্ক্রিয় সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। উল্লেখ্য, গেল দুবছর আগে দুর্গাপুর পৌরসভার শিবগঞ্জ এলাকায় একটি ভাঙ্গারির দোকানে মটারশেল বিস্ফোরণ হয়ে একজন নিহত সহ গুরুতর আহত হন দুজন।
পরবর্তীতে বোমা ডিসপোজাল ইউনিট সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বস্তুটি মটারশেল বলে নিশ্চিত করে। সেই সাথে বস্তুটি মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ের বলেও জানিয়েছিলেন তারা।