ডাকাতি মামলায় সিলেটের জেলে থাকা নেত্রকোনার পুর্বধলার নাজিম উদ্দিন নামের ব্যাক্তির পরিবারের দাবী নির্দোষ। নামের বিভ্রাটে তিনি খাটছেন জেল। এ ঘটনায় পুলিশের গাফিলতিকে দায়ী করছেন পরিবার ও এলাকাবাসী। স্থানীয় এবং জনপ্রতিনিধিরা জানান পুলিশের কাছে বারবার প্রমাণ দিলেও পুলিশ বিষযটির তোয়াক্কা করেনি।
নিদোর্ষ ছেলেকে ডাকাতি মামলায় বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যাওয়ায় পর কাঁদতে কাঁদতে চোখের জল শুকিয়ে গেছে এই বৃদ্ধ মায়ের। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম নিরাপরাধ ব্যক্তিকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা কিছুতেই মানতে পারছেননা মা, মেয়ে স্ত্রীসহ স্বজনরাও।
জানা গেছে, সিলেটের জালালাবাদ থানার গত ১৩ সনের একটি ডাকাতি মামলায় গোহালাকান্দা ইউনিয়নের নাজিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তির দশ বছরের সাজা হয়। গত ২০১৯ সনে সিলেটের সুনামগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাজার রায় হয়।
তিনি পুর্বধলা উপজেলার গোহালাকান্দা ইউপির ৫ নং ওয়ার্ডের কিসমত বারেঙ্গা গ্রামের মৃত মিরাশ আলীর ছেলে। এরপর মামলায় সাজার ওয়ারেন্ট আসলে পুর্বধলা থানার পুলিশ এ বছরের ২৯ জানুয়ারী ৬ নং ওয়ার্ডের হাটবারেঙ্গা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নাজিম উদ্দিন নামের এক ব্যাক্তিকে। গ্রেফতারকৃত দিনমজুর নাজিম উদ্দিনকে স্বজনরা বলছেন তিনি নিদোর্ষ নিরাপরাধ।
ওই মামলায় প্রকৃত আসামীকে যাচাই বাছাই না করেই গ্রেফতারি পরোয়ানা তামিল করে দিন মজুর নাজিম উদ্দিনকে ধরে নিয়ে গেছে বলেও অভিযোগ করেন স্বজনরা। ভুক্তভোগী পূবর্ধলা উপজেলার গোহালাকান্দা ইউনিয়নের হাটবারেঙ্গা গ্রামের মৃত মিরাজ আলীর ছেলে। এলাকার মানুষ যাকে ভালোভাবে চেনেন। তিনি তিন সম্পাহ ধরে বিনা অপরাধে কারাগারে থাকা রয়েছেন বলেও পরিবারসহ এলাকাবাসীর দাবী। নাজিম উদ্দিনকে মুক্ত করার দাবী করছে স্থানীয়রা।
গ্রেফতারের পর থেকে জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয়রা বিষয়টির প্রতিবাদ করলেও থানা পুলিশ কোনো পাত্তা দেয়নি বলেও জানান গোহালাকান্দার সাবেক চেয়ারম্যান হাসনাত জামান খোকন। এ ঘটনায় কথা বলতে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসন।
৬ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য দিদারুল ইসলাম শামীম জানান, চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যায়ন দিয়েছি। নামের ভুলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। আমরা তার প্রকৃত পরিচয় তুলে ধরলেও পুলিশ বিশ্বাস করেনি। অপরাধী নাজিম বিগত বছর বিশেষ ধরেই বাড়ি ঘর বিক্রি করে ভাসমান অবস্থায় চুরি ডাকাতি করছে। আমরা এই নিরাপরাধ ব্যাক্তির মুক্তি দাবী করছি।
তবে পূর্বধলা থানার ওিাস মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, আমরা নাম ঠিকানায় সত্যতা পেয়েই গ্রেফতার করেছি। তথ্যে কোন একার ওকার ভুল নেই। তাদের কাছে সঠিক না হলে তারা আদালতে প্রমাণ করবে। এতে আমাদের কোন সমস্যা নেই।
এদিকে বিষয়টির তদন্ত করে ব্যবস্থা সহ ভুক্তভোগি নাজিম উদ্দিনকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে বলে জানালেন পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ।