নেত্রকোনার মদনে প্রতিবেশি চাচা কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে বাক প্রতিবন্ধী শিশু (১৩)।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে জামিন হোসেন (২৫) নামের ওই যুবকের বিরুদ্ধে মদন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বিষয়টি চাপা দিতে স্থানীয়রা দফায় দফায় শালিস মীমাংসাও করেছেন।
অবশেষে গত রোববার (২৪) রাতে থানায় মামলাটি দায়ের করা হলে মামলা তুলে নেয়ার চেষ্টা করায় তিন দিন পরে আজ বুধবার ঘটনাটি সর্বস্তরে জানাজানি হয়।
অভিযুক্ত জামিল হোসেন উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের পদেরকোনা গ্রামের ইদ্রিস তালুকদারের ছেলে।
মামলার এজহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত প্রভাবশালী জামিল হোসেন সম্পর্কে ওই প্রতিবন্ধী শিশুর প্রতিবেশী চাচা হন।
গত ২০ নভেম্বর বাক প্রতিবন্ধী শিশুটিকে বাড়িতে একা রেখে চিকিৎসা করাতে উপজেলা সদর যান বাবা মা।
এই সুযোগে জামিল শিশুটিকে একা পেয়ে পাশের বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে ধর্ষন করে।
এ ঘটনা কারো কাছে বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়।
কিন্তু শিশুর মা-বাবা ডাক্তার দেখিয়ে বাড়িতে আসার পর মেয়েটি তার মাকে ঘটনাটি জানায়।
এলাকায় জানাজানি হলে ঘটনা চাপা দিতে মীমাংসার জন্য পরিবারকে চাপ প্রয়োগ করে।
দফায় দফায় দরবার সালিশ করেন স্থানীয় প্রভাবশালী মাতব্বররা। সালিশে মাতব্বররা জামিল হোসেনকে জুতাপেটা করেন।
শালিসে প্রতিবন্ধী শিশুটি প্রাপ্ত বয়স হওয়ার পর অন্যত্র বিবাহের ব্যায়ভার নিতেও ইচ্ছা পোষণ করে জামিল।
গ্রামবাসীর দাবী প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণকারী জামিল হোসেনকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে বিচার করা হউক।
এ ব্যাপারে মদন থানার ওসি নাঈম মোহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের অভিযোগে রবিবার রাতে থানায় মামলা হয়েছে।
গত সোমবার ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।