সোহান আহমেদ:
টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা উপজেলার নিন্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি কিছুটা নামতে শুরু করলেও এখনো পর্যন্ত পানিবন্দি হয়ে রয়েছে অন্তত ১০ টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। এছাড়াও ঢলের পানিতে দুর্গাপুরের সোমেশ্বরী নদীর তীরে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। এতে চরম আতঙ্কে দিন পার করছেন শতাধিক পরিবার।
খবর পেয়ে বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করেই ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক। এ সময় নদী ভাঙ্গন রোধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশনা দেন জেলা প্রশাসক কাজী মোঃ আবদুর রহমান। শনিবার বিকেলে দূর্গাপুর উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত ঘেঁষা কুল্লাগড়া ইউনিয়নের, ডাকুমারা, কামারখালী, বহেরাতলী, বরইকান্দী গ্রামের নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরেই এসকল অঞ্চলে নদী ভাঙ্গন চলে আসছে। গেল বছর পানি সম্পদ মন্ত্রী এ সকল এলাকা পরিদর্শন করেন। পরবর্তীতে জরুরি ভিত্তিতে ১৬শ মিটার জায়গা মেরামতে প্রায় ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। বর্তমানে এর কাজ চলছে। দ্রুত মানসম্পন্ন ভাবে কাজ শেষ করে ভাঙ্গন প্রতিরোধে ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এ সময় পরিদর্শন কালে অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারী বৃন্দ।
এর আগে দূর্গাপুরের কাকৈরগড়া ইউনিয়নের কৃষ্ণেরচড় এলাকায় প্রধানমন্ত্রী দেয়া বিশেষ উপহার পাকা ঘরে বসবাসরত ছিন্নমূল মানুষের খোঁজ খবর নেন জেলা প্রশাসক। এ সময় বসবাস রত পরিবারের সদস্যরা জানান, খালের পার্শবর্তী ও নিচু এলাকা ঘরগুলো নির্মিত হওয়ায় সম্প্রতি ঢলের পানিতে প্রতিটি ঘরে ২/৩ ফুট পানি প্রবেশ করেছে। এতে চরম দুর্ভোগে দিন কাটাতে হয়েছে তাদের। এসকল সমস্যার কথা শুনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে জরুরি ভিত্তিতে ব্যাবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেয়ার পাশাপাশি প্রতিটি পরিবারের জন্য একটি করে উঁচু চৌকি কিনে দেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আবদুর রহমান।