শুক্রবার, মার্চ ২৮, ২০২৫
21.7 C
Netrakona
শুক্রবার, মার্চ ২৮, ২০২৫
মূলপাতাঅন্যান্যনেত্রকোনার স্যানিটারি ল্যান্ডফিলটি সুবিধার পরিবর্তে দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে

নেত্রকোনার স্যানিটারি ল্যান্ডফিলটি সুবিধার পরিবর্তে দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে

নেত্রকোনা পৌরসভার বাস্তবায়নে স্যানিটারি ল্যান্ড ফিল এখন স্থানীয়দের দুর্ভোগে পরিণত হয়েছে। বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত কার্যক্রম না করেই উদ্বোধনের মাধ্যমে ব্যবহার করায় ভোগান্তিতে এলাকাবাসী। দুর্গন্ধ, মাছিসহ বিষাক্ত বাতাসে অসুস্থ হচ্ছে শিশুসহ বিভিন্ন বয়সীরা। এলাকার নামকরণ হয়ে গেছে ময়লাকান্দা। যে কারণে ছেলে মেয়েদের বিয়ে দেয়াতে আত্মীয়-স্বজন না আসা একল সঙ্কটে পৌর শহরের বাহির চাপড়া এলাকার বসবাসকারীরা।

স্থানীয় ও পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনা শহরকে দুর্গন্ধমুক্ত করতে স্যানিটারী ল্যান্ড ফিলের উদ্যোগ নেয় পৌরসভা। এই লক্ষ্যে পৌর শহরের ৪ নং ওয়ার্ডের বাহির চাপড়া এলাকার ৩ দশমিক শূন্য ৫ একর জায়গায় ল্যান্ডফিল স্থাপনের প্রকল্প হাতে নেয়। ২০১৯ সনে কাজ শুরু হয়। তালুদার নির্মাণ শপ ইন ট্রেড নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা ব্যায়ে এই ফিলের অবকাঠামোও নির্মাণ করে। কাজের ৫ বছর পর ২০২৪ সনের এপ্রিলের ২৭ তারিখ ঢাকঢোল পিটিয়ে উদ্বোধনও করেন পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান।
উদ্বোধনকালে সকলের সামনে টিভি ক্যামেরায় মেয়র বলেছিলেন, এটি ষোল কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত। শুধু আবর্জনাই প্রক্রিয়াজাত হবে না, এর থেকে তৈরী হওয়া সার উৎপাদনে অর্থও আয় হবে। এরপর থেকেই সেখানে ফেলা হয় বর্জ্য। প্রায় দু’বছরেই চর্তুপাশ ভরাট হয়ে পড়ে। আগুনে পুড়িয়ে দিলেও বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত না হওয়ায় আশপাশের চারপাশে ছড়াচ্ছে। দুর্গন্ধ ও বাতাস দুষিত হয়ে স্থানীয় বাসিন্ধারা অসুস্থতায় ভুগছে। ওই এলাকার স্থানীয়দের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন আসা যাওয়া বন্ধ হয়ে পড়েছে। পাত্র পাত্রী দেখতে এলে একবার গিয়ে আর আসেনা। স্থানীয় রফিকুল ইসলাম জানান, বাড়িসহ জায়গা জমি বিক্রি করে দিয়ে চলে যেতে চাইলেও পারছেননা। শুধুমাত্র জমি অধিগ্রহণের মূল্য ছাড়া নেত্রকোনা পৌরসভার ওয়েবসাইটসহ কোথাও প্রজেক্টে কত টাকা ব্যয় হয়েছে তা পাওয়া যায়নি।
এদিকে পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হুমায়ূন কবীর জানান, ৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকায় শুধুমাত্র অবকাঠোমো নির্মাণ হয়েছে। ফাংশনিংয়ের জন্য যা যা করা দরকার প্রকল্প থেকে এসব কিছুই করেনি। এর জন্য আমরা কিছু করতে পারছি না। আমরা অসহায় হয়ে গেছি। তারপরও যোগাযোগ করছি কি করা যায়।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments