নেত্রকোনার অবহেলিত হাওরাঞ্চলের মানুষদের মাঝে বিনামূল্যে চক্ষু সেবা দেয়া হয়েছে। জেলার সবচেয়ে বড় হাওর মোহনগঞ্জে ডিঙ্গাপোতা হাওরের ভেতরের এক গ্রাম ম্ললিকপুর। যে গ্রামটির চারপাশ হাওর বেষ্টিত। ফলে এই গ্রামের মানুষদের যে কোন চিকিৎসা সেবা পেতে ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
আর এই ভোগান্তি কমাতে গত পাঁচ বছর ধরে বিনামূল্যে অবহেলিত এই জনপদে চক্ষু সেবা দিয়ে যাচ্ছে অনিল তালুকদার স্মৃতি পরিষদ। এই ট্রাস্টের উদ্যোগে ময়মনসিংহ বিএনএসবি পরিচালিত ডা. কে জামান হাসপাতালের চিকিৎসকরা চক্ষু ক্যাম্প পরিচালনা করেন।
প্রতি বছর পয়লা নভেম্বর মোহনগঞ্জ উপজেলার মাঘান সিয়াদার ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামে অনিল তালুকদারের বাড়িতে শত শত নারী পুরুষ জরো হন। শুধু ওই এলাকার মানুষেরাই নয় আশপাশের বিভিন্ন গ্রামের এমন কি খালিয়াজুরীসহ সুনামগঞ্জের শাল্লা চোরের ভিটা সহ অনেক গ্রামের মানুষ এই বিনামূল্যে সেবা নিয়ে থাকেন।
অনিল তালুকদারের মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর ছোট কন্য আমেরিকা প্রবাসী কাকলি তালুকদারের সার্বিক তত্বাবধানে চার ভাইবোন এই বিনামূল্যে চক্ষু সেবা ক্যাম্প দিয়ে থাকেন। পাশাপাশি বিনামূল্যে ঔষধ বিতরণ করা হয়। এছাড়া যাদের অপারেশন প্রয়োজন তাদেরকে পরিবহন সহ সকল দায়িত্ব নিয়ে অপারেশন করানো হয়। সমাজ সেবক অনিল তালুকদারের মেঝো মেয়ে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির নেত্রী জলি তালুকদার জানান, আমার বাবা মানুষের জন্য কাজ করতেন। আমরা বাবার মৃত্যু বার্ষিকীতে প্রতিবছর বিনামূল্যে চক্ষু ক্যাম্প পরিচালনা করে আসছি।
গতকালও বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত প্রায় ৫০০ রোগীকে এই সেবা প্রদান করা হয়। তাদের মধ্য থেকে ১৫৫ জন রোগী নির্বাচিত করা হয় ছানি অপারেশনের জন্য। আমরা বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই ডাঃ কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল, ময়মনসিংহ এবং মল্লিকপুরবাসীকে। যারা এই উদ্যোগকে সফল করতে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। এর পাশাপাশি আমরা গ্রামের দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে বৃত্তি দিয়ে থাকি। যাতে তাদের পড়াশোনা চালাতে পারে এবং আগ্রহ বাড়ে।