কে, এইচ, এম, নূরুল আলম কামাল
নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া থানার বিস্ফোরক মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের ৬জন চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক কামাল হোসাইন এ আদেশ দেন।
কারাগারে প্রেরণ করা চেয়ারম্যানরা হলেন, দলপা ইউপি চেয়ারম্যান মো.শাহিন মিয়া, মাসকা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আব্দুস ছালাম বাঙ্গালী, গড়াডোবা ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খান সোহাগ, আশুজিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. মন্জুর আলী, পাইকুড়া ইউপি চেয়ারম্যান ইসলাম উদ্দিন ও রোয়াইলবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ লুৎফর রহমান ভূঁইয়া।
জানা যায়, গত ২০ নভেম্বর কেন্দুয়া পৌরসভার বাদে আঠারবাড়ি গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মো. জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে এ মামলাটি করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৩০ মে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালনে শোক র্যালি বের করা হয়।
র্যালিটি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড ও কেন্দুয়া জয়হরি স্প্রাই সরকারি উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে আওয়ামী লীগের কিছু লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।
প্রাণ বাঁচাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা কার্যালয়ে আশ্রয় নিলে কর্মীরা গেট ভেঙে ভেতরে ঢোকে এবং আটটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়ায়।
অতর্কিত এই হামলায় ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এতে প্রায় ১৬ লাখ টাকার ক্ষতি হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়, সে সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম হিলালীকে হামলাকারীরা গালিগালাজ করে এবং তাকে হত্যার হুমকি দেয়।
ওই ঘটনার পর তৎকালীন পরিস্থিতির কারণে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামী পক্ষে আইনজীবী শাহ আলম শামীম।
তিনি জানান, আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহ জামিনে ছিলেন।
বুধবার দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয় জামিন প্রার্থনা করলে তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।