নেত্রকোনায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের দেয়া ভূমিহীনদের ঘর পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) বিকালে নেত্রকোনা সদর উপজেলার রৌহা ইউনিয়নের বড়গাড়া গ্রামে নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের ৪০ টির পরিবারের মাঝে হস্তান্তকৃত ঘরগুলো পরিদর্শন করেন তিনি।
এসময় আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাওয়া হতদরিদ্র মানুষগুলো খুশিতে আত্মহারা হয়ে অতিথিদের জন্য বাহারি রকমের তৈরি করা পিঠা পরিবেশন করেন। তাদের এই খুশিরর কষ্টকে সন্মান জানিয়ে পরিদর্শনকালে পিঠা খেয়েছেন অতিথিরা। এসময় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া প্রার্থনা করেন জেলা প্রশাসক ও পরিদশর্নে আসা অতিথিবৃন্দ।
পরিদশর্নে সচিবের সাথে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশিনার মো. শফিকুর রেজা বিশ্বাস, আশ্রয়ন প্রকল্প ২ এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) আবু ছালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান, উপ-প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক, নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেযারম্যান আব্দুল খালেক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার, ভাইস চেয়ারম্যান তুহিন আক্তারসহ স্থানীয় জনপ্রতিনধিসহ সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ।
এসময় ঘর পাওযা বৃদ্ধা জোহরা খাতুন বলেন, বাড়ি ছিলোনা। ঢাকায় কাজ করতেন যেখানে খুশি সেখানে ঘুমাতেন। কোন ছেলে নেই। এক মেয়ে সন্তানই সম্বল। অন্যের বাড়িতে গৃহ পরিচারিকার কাজ করে মাত্র তিন হাজার টাকা আয় করে। এ দিয়ে কোন রকম খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারছেন। মাথা গুজার ঠাঁই পেয়ে তাদের জীবনের মোড় ঘুরেছে।
এদিকে আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শন শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, এরা এতোটাই খুশি হয়েছে যে, খবর পেয়ে হরেক রকমের পিঠা বানিয়ে রেখে রীতিমত চমক লাগিয়ে দিলো। তাদের পিঠা খাওয়ায় এই মানুষগুলো খুশিতে আপ্লুত হয়ে পড়ে। তারা এখন মাথা গুজার ঠাঁই পেয়ে নিজেদেরকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে।
এর প্রমাণ এখানে প্রবেশের পথেই দেখেছি। দেখেছিতারা দোকানপাট করে ফেলেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর লক্ষ্য বাস্তবায়ন হচ্ছে। কোন মানুষ আর গৃহহীন থাকবে না। এখানে একটি মেয়ে ভার্সিটিকে পড়ে। তার মানে তাদের জীবন মান উন্নত করতে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে এটাও তারা বুজেছে। এরপর জেলার অন্যান্য প্রকল্পের ঘরগুলো পরিদর্শন করেন তিনি।