নেত্রকোনার দুর্গাপুরে স্বাবলম্বী নামে এক এনজিওর মাধ্যমে ৫ শতাধিক গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে টাকা ফেরত চেয়ে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগীরা।
আজ রবিবার দুপুরে দূর্গাপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিভিন্ন এলাকার প্রায় শতাধিক গ্রাহক ভুক্তভোগীরা সমবেত হয়ে এই মানবন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন। এর আগে সকালে টাকা ফেরতের দাবিতে উপজেলার কৃষ্ণেরচরে বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে ভুক্তভোগীরা। এ সময় তারা অভিযোগ করেন, স্বাবলম্বী উন্নয়ন সমিতি নামে এনজিও দুর্গাপুর উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চলা এই কর্মসূচিতে অংশ নেন গাওকান্দিয়া ও কাকৈরগড়া ইউনিয়নের হতদরিদ্র শতাধিক নারী-পুরুষ।
মানববন্ধন শেষে স্বাবলম্বীর মাঠকর্মী পরিচয়ে টাকা উত্তোলকারী ইমরান হোসেনসহ তিনজনকে আসামী করে দুর্গাপুর থানায় সকল ভুক্তভোগীদের পক্ষে মনোয়ারা খাতুন বাদী হয়ে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন।
ভুক্তভোগীরা জানান, গত ৪ বছরে তাদের মাঠকর্মী ইমরান হোসেন গ্রামের মানুষের কাছ থেকে ঋণ দেয়ার নাম করে সঞ্চয় সংগ্রহ করে আসছিলেন। তবে ঋণ চাইলেই নানা তালবাহানা করে গ্রাহকদের ঘুরাচ্ছেন। করোনা আসার পর থেকে উপজেলার পৌর এলাকার বাগিচাপাড়া অফিস ছেড়ে দিয়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে সঞ্চয় নিতেন। এভাবে সঞ্চয়কারীদের ১৯৮ জন একত্রিত হয়ে তাদের জমাকৃত প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা ফেরত চাইতে গেলে ইমরান পালিয়ে যান।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী মনির হোসেন, জুলেখা খাতুন, খোদেজা খাতুন, রাবেয়া বেগম, আমেনা খাতুন ও আছিয়া খাতুনসহ অন্যরা জানান, তাদের বেশিরভাগ মানুষই অন্যের বাড়িতে কাজ করে কিংবা ভিক্ষা করে দিন চলে। অনেকে কষ্ট করে এই টাকা জমিয়েছিলেন ভবিষ্যতে একটু শান্তিতে থাকার আশায়। কিন্তু তাদের কষ্টের টাকা এভাবে প্রতারণা করে খেয়ে ফেলবে বুঝতে পারিনি। আমরা আমাদের কষ্টের টাকা ফেরত চাই।
স্থানীয়রা জানান, এই নিয়ে পরপর দুইবার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে গ্রাম্য সালিশের ব্যবস্থা হলেও কোনো সুরাহা হয়নি। উল্টো দুইবারই সালিশের মাঝখান থেকে কৌশলে পালিয়ে যান স্বাবলম্বীর মাঠকর্মী ইমরান। যে কারনে গ্রাহকরা বাধ্য হয়ে মানববন্ধন পালন করেছে