নেত্রকোনায় এসডিডি বাস্তবায়নে নানা পদক্ষেপের কথা জানালেন নবাগত পুলিশ সুপার মো, ফয়েজ আহমেদ। অর্থাৎ পুলিশের সার্ভিস, ডিসিপ্লিন এবং ডিজিটাল সাউন্ডের সঠিক ব্যবহার করে যেতে হবে। রবিবার দুপুরে নেত্রকোনার কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভায় পুলিশ সুপার এসব কথা বলেছেন। পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে পরিচয় পর্ব শেষে পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ বলেন এস অর্থ সার্ভিস।
আর এই সার্ভিস দিতে গিয়ে থানা বা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে কেউ যেনো মুখ কালো করে ফিরে না যায় সেটির বাস্তাবায়ন করা হবে। এজন্য একটি টিম কাজ করবে। সকল থানার জিডি এবং অভিযোগপত্র নিয়ে একজন একজন করে ভুক্তভোগীদের ফোন দিয়ে জানা হবে তার সমস্যা সমাধান হয়েছে কিনা। পুলিশের কেউ খারাপ আচরণ করেছে কিনা। এগুলোর ব্যত্যয় ঘটলে বা যার বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া যাবে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পরের ডি অর্থ হচ্ছে ডিসিপ্লিন। অর্থাৎ শৃঙ্খলা। তিনি বরগুনার উদাহরণ তুলে ধরে বলেন সকলকে বলা হয়েছে সতর্কতার সাথে ডিউটি পালন করতে। দায়িত্ব পালনকালে এমন কিছু করা যাবে না যার দরুণ পুলিশ বিভাগ এবং নেত্রকোনা পুলিশ বিব্রত হয়। অত্যন্ত সতর্ক থেকে জনবান্ধব হয়ে কাজ করতে হবে। শেষের ডি অর্থাৎ ডিজিটাল সাউন্ড। ডিজিটাল সুবিধায় এখন অপরাধও বেড়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন তথ্য সন্ত্রাস বন্ধ করা হবে। এরজন্য ইতিমধ্যেই যারা সাইবার ক্রাইম নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী তাদেরকে যোগাযোগ করেত চিঠি দিয়েছি। তাদেরকে নিয়ে একটি সাইবার টিম গঠন করা হবে। শারিরীকভাবে যেমন পুলিশের পেট্রোল ডিউটি থাকে তেমনি মানসিকভাবেও ব্রেনকে কাজে লাগিয়ে কম্পিউটারের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বিভিন্ন অনলাইন পেজ মনিটরিং করা হবে। তারা কি দিচ্ছে না দিচ্ছে। কি দিবে না দিবে সকল কিছুর তথ্য সংগ্রহ করে রিপোর্ট করে পাঠানো হবে সংশ্লিষ্ট উর্ধতন বরাবরে। এই তিনের বাস্তাবায়ন করতে পারলে অনেকাংশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নত হবে। পাশাপাশি পুলিশের প্রতি আস্থা বিশ্বাস সকল কিছুর উন্নয়ন ঘটবে।
এছাড়াও জেলায় মাদক নিয়ন্ত্রণ, জুয়া বন্ধের জন্য সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে। মাদকের আসার যে পয়েন্ট সেটি বিজিবি নিয়ন্ত্রণ করে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জন্য রয়েছে আলাদা একটা প্রতিষ্ঠানও। তারপরও পুলিশের উপর দায়িত্ব থাকেই। সে জন্য সকলের সমন্বয়ে মাদক নিয়ন্ত্রণে একেবারে জিরো টলারেন্স না হতে পারলেও তার কাছাকাছি করার চেষ্টা চালিয়ে যাবো। এসময় জেলায় হোন্ডা চুরি, কিশোর গ্যাং এসকল অপরাধের তথ্য শুনে বিচলিত হয়ে বলেন ইভ টিজিং বন্ধে নারী পুলিশ কাজ করবে। আজো আটপাড়া উপজেলায় ৭ জনের মতো আটক করা হয়েছে। প্রতিটি স্কুল এবং কোচিংয়ের শিক্ষার্থীদের উপর নজর রাখা হবে। কোন শিক্ষার্থীকে এসবের বাইরের সময় বাজে আড্ডারত পেলেই সংশ্লিষ্ট থানায় নিয়ে আসা হবে। সেইসাথে বাবা মা অথবা অভিভাবকদের ডেকে এনে তাদের মুচলেকা নিয়ে ছাড়া হবে।
আয়োজিত মত বিনমিয় সভায় পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোরশেদা খাতুনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান জুয়েল, প্রেসক্লাব সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, সাংবাদিক আলপনা বেগম, এ কে এম আব্দুল্লাহ, সোহান আহমেদসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা।
এতে জেলার সার্বিক আইনশৃঙ্খলা চিত্রের নানাদিক তুলে ধরে সাংবাদিকরাও পেশাগত দায়িত্ব পালনে সময়মতো তথ্য প্রাপ্তির বিষয়ে নিশ্চয়তার দাবী জানায়। মত বিনিময় সভায় জেলায় বিভিন্ন প্রিন্ট ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ায় কর্মরত অর্ধশতাধিক সংবাদকর্মী উপস্থিত ছিলেন।