ভুক্তভোগী মানুষের দোড়গোঁড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহনে পরিকল্পনা প্রণয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গ্রাম আদালত সর্ম্পকে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধিতে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ণ সভার আয়োজন করেছে জেলা প্রশাসন।
বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়রকরণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প স্থানীয় সরকারের উদ্যোগে মঙ্গলবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে দিনব্যাপী পরিকল্পনা সভায় জেলার তিন উপজেলাকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক জিয়া আহমেদ সুমনের সভাপতিত্বে জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ফখরুজ্জামান জুয়েল, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ সুহেল মাহমুদ, ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর আব্দুল্লাহ আল মুজাহিদ, দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম, সাংবাদিক আলপনা বেগম, কেন্দুয়ার আশুজিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, দুর্গাপুরের বাকলজোড়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলামসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও জেলার কেন্দুয়া, মদন ও দুর্গাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যান সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এতে অংশ নেন। বিভিন্ন বিচার বা শালিস দরবারে অংশ নেয়া জিও এনজিও গুলোকেও গ্রাম আদালতে সম্পৃক্ত করা হয়।
এসময় জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান বলেন, আমি বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখেছি গ্রাম আদালতের কার্যক্রম ঝিমিয়ে পড়েছে। কোন ডকুমেন্ট নেই। রেজিষ্টারে তথ্য লিপিবদ্ধ নেই। অর্থাৎ গ্রাম আদালত যে দর্শন নিয়ে করা হয়েছে মানুষের দোড়গোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে সেটি পূরণ করতে পারিনি আমরা। মানুষের কাছে সেবা পৌঁছে দেয়ার এটি একটি অন্যতম মাধ্যম ছিলো। যা আমরা অনায়াসেই করতে পারতাম। আমরা সেটি করতে পারিনি। সেজন্য তিনি চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে মানুষের আস্থা অর্জনের পরামর্শ দেন।
সহায়তাকারী প্রস্তুত করার প্রতিও জোর দেন তিনি। সুনিদৃষ্টভাবে প্রতিটি এলাকা ধরে মনিটরিং ব্যাবস্থা চালু করে তৃণমূল মানুষদের সেবা দেয়ার কথা জানান তিনি। প্রতি থানায় এখন নারী শিশু সহ বিভিন্ন ডেস্ক রয়েছে। সেগুলোতে দ্বায়িত্বপ্রাপ্তরা কোন ব্যাক্তি আসলে তাদেরক প্রথমে গ্রাম আদালতে সেবা নিতে উদ্বুদ্ধ করার প্রতিও পারমর্শ দেন তিনি।
এক কথায় চেয়ারম্যান যারা রয়েছেন তারা ভোটের চিন্তা না করে জনগনের সেবায় গ্রাম আদালতেকে সক্রিয় করতে ভূমিকা রাখতে আহ্বান করেন।