নেত্রকোনায় জেলা নদী রক্ষা কমিটির এক বিশেষ সভায় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের উপ পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ড. খম কবিরুল ইসলাম জানান প্রবাহিত জলাশয়ে কোন ইজারা প্রথা থাকবে না। বাতিল করে দিতে হবে ওই সকল জলমহালের ইজারা। নদী বাঁচাতে স্থায়ী উদ্যোগ না নিলে কদিন পর শহর আর টিকবে না। মঙ্গলবার বিকালে নেত্রকোনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা নদী রক্ষা কমিটির বিশেষ সভায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।
এসময় নেত্রকোনা জেলা শহরকে প্যাঁচিয়ে রাখা মগড়া নদী বাঁচাতে এবার অবৈধ দখলের উচ্ছেদ অভিযান করতে হবে সিএস মূলে এই সিদ্ধান্তও দিয়েছেন। বি আর এস মূলে গত ২০২০ সনে অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযানটি বাতিল করে সিএস মূলেই অভিযান চালানোর নির্দেশ দেন তিনি।
জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সভাপতিত্বে বিশেষ সভায় নদীগুলোর সার্বিক অবস্থা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ভূত্বাত্বিক জরিপ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক রেশাদ মহম্মদ ইকরাম আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোরশেদা থাকুন, নেত্রকোনা পৌসভার প্যানেল মেয়র এস এম মহসীন আলম, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সারোয়ার জাহান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহজাহান কবীর, দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব উল আহসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার, সাংবাদিক আলপনা বেগম, গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান বারসিকের সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমান প্রমুখ।
সভায় কমিশনের উপ পরিচালক আরও বলেন, কোন নদীকেই খাল বানানো যাবে না। বরং খালকে নদী করে খননের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্ট প্রতিটি দপ্তরকে। এছাড়াও প্রবাহমান অর্থাৎ নদীগুলোকে জলমহাল ইজারা বাতিল করার নির্দেশও দেন। পাশাপাশি নদী থেকে ড্রেজার বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকারী পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান।
এসময় নদী দূষণে নেত্রকোনা জেলায় পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন কার্যকরী পদক্ষেপ না পেয়ে বিভাগীয় কর্মকর্তা ও জেলা কর্মকর্তার কার্যক্রমে অসন্তোষ প্রকাশ করেন নদী রক্ষা কমিশনের উপ পরিচালক। এ বিষয়ে অফিসিয়ালি চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে অপরিকল্পিত ব্রিজ করে মগড়া নদীকে মৃত করার দায়ে সড়ক বিভাগের কতৃপক্ষকে পুনরায় পরিকল্পিত নকশা প্রনয়নেরে নির্দেশ দেন। পরে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে মগড়া নদী খননে সার্বিক দিক বিবেচনা করে খনন কাজের জন্য প্রস্তুতির ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশও দেন।