নেত্রকোনা-মোহনগঞ্জ সড়কের সিংহের বাংলা ইউনিয়নের কান্দুলিয়া নামক স্থানে শুক্রবার সন্ধ্যায় পাথর বোঝাই ড্রামট্রাক সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই সিএনজির চালক সহ এক যাত্রী নিহত হয়েছেন।
নিহত চালক আবুল বাশার ফকির (৩৫) নেত্রকোনা সদর উপজেলার হোসেনপুর আবুল কাশেম ফকিরের ছেলে। নিহত যাত্রী সিদ্দিকুর রহমান (৪০) কলমাকান্দা উপজেলার বাঘ সাতরা গ্রামের তাজর উদ্দিনের ছেলে।
আহত হয়েছেন সিএনজির পেছনের দুই নব দম্পতি বারহাট্টা উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে মুসাহিদ (২৫) ও নব বধু নেত্রকোনা সদর উপজেলার বড়গাড়া এলাকার সাইকুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার সাথী (১৮)। তাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠালে পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সদর উপজেলার ঠাকুরাকোনা থেকে একটি ড্রাম ট্রাক পাথর নিয়ে নেত্রকোনার দিকে আসছিলো। এসময় বিপরীদ দিক থেকে যাত্রী নিয়ে একটি সিএনজি অটোরিকশা বারহাট্টার উপজেলার দিকে যাচ্ছিলো। পরে কান্দুলিয়া এলাকায় পৌঁছতেই বেপরোয়া গতির ট্রাক এবং সিএনজির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চালকসহ এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। স্থানীয়রা দ্রুত ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ট্রাকের নীচ থেকে সিএনজিকে টেনে সরিয়ে দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করে।
অপর নব দম্পতি দুই যাত্রীকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
এদিকে ঘটনার সাথে সাথে ঘাতক ট্রাকের চালক পালিয়ে যায়। এসময় নেত্রকোনা মোহনগঞ্জ সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হলে মডেল থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নেত্রকোনা মডেল থানার ওসি খন্দকার শাকের আহমেদ বলেন, ট্রাক সিএনজি দুটোই উদ্ধার করে থানায় নেয়া হচ্ছে। ট্রাকের চালককেও আটকের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহিম জানান, ট্রাক সিএনজি এসবে চালকদের বেশির ভাগই লাইসেন্স বিহীন। অদক্ষ এবং বেপরোয়া চলাচল এই ধরনের দুর্ঘটনার কারণ।
আহত নব দম্পতি সম্প্রতি বিয়ের পর বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরালয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু এখন আহত হয়ে তারা হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।