সোহান আহমেদ:
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও অতি বৃষ্টি নেত্রকোনার কলমাকন্দায় গোমাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাধঁ ভেঙ্গে কয়েকশত হেক্টর জমির পাকা ধান তলিয়ে গেছে। কলমাকান্দা উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের পাঠানপাড় এলাকার জাইকার ফসলরক্ষা ডুবন্ত বাধঁ ভেঙ্গে মান্দারউড়া বিল,দশধার, দলপুর, নিচিন্তপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের বিলে থাকা কাঁকা ধানের জমিগুলো তলিয়ে গেছে। তবে কৃষি বিভাগের তথ্যমতে এরইমধ্যে জেলার ৮০ ভাগ ধান কেটে ফেলা হয়েছে দাবি করলেও কৃষকরা বলছেন এ সকল এলাকায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ধান এখনো কাটা যায়নি।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বৈরী আবহাওয়ার মাঝেই অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে শ্রমিকের মাধ্যমে পানিতে তলিয়ে যাওয়া বিলগুলোর পাকাধান কাটতে চেষ্ঠা করছে কৃষকরা।
কলমাকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারুক আহম্মদ বলেন,উপজেলার পোগলা ইউনিয়নের পাঠানপাড়া জাইকার ফসলরক্ষা বাধঁ ভেঙ্গে যেখানে পানি ডুকেছে সেখানে ৪ শত ৮০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছিলো। এরইমধ্যে প্রায় ৪ শত হেক্টর জমির ধান কেটে ঘরে তুলেছেন কৃষকরা। তবে হঠাৎ করে বাধঁটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা। ফসলি জমিতে পানি থাকায় হারভেষ্টার দিয়ে ধাঁন কাটা যাচ্ছে না এবং আবহাওয়া খারাপ থাকায় বেশী মূল্যে কৃষি শ্রমিক দিয়ে ধাঁন কাটতে হচ্ছে কৃষকদের।
কৃষকরা জানান, এদিকে গেল কয়েকদিনের পাহাড়ি ঢল ও অতি বৃষ্টিতে নেত্রকোনার প্রধান নদ নদীর মধ্যে কংস, মগড়া সোমেশ্বরীর পানি বাড়লেও পাহড়ি নদী কলমাকান্দার গনেস্বরীর পানি কংস নদী দিয়ে গুমাই নদীসহ জেলার বিভিন্ন হাওর ও বিলে প্রবেশ করছে। পানি অতিরিক্ত চাপে গুমাইখালি নদীর পাঠানপাড়া এলাকায় ডুবুন্ত বাঁেধর অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় মূহুর্তের মাঝেই ডুবে গেছে অন্তত কয়েশ হক্টের জমির ধান। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কলমান্দাার পেগলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামসহ বারহাট্টার রায়পুর ইউনিয়নের কয়েকশত হেক্টর জমি।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকোশলী মোহন লাল সৈকত জানান, এটি একটি ডুবন্ত বাঁধ। এর ভেতরে কোন ধানের জমি নেই। হাওরের ধান কাটা আগেই শেষ হয়েছে। এই বাঁধের কারণে তেমন কোন ক্ষতি হবে না বলেও জানান করেন তিনি।