নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলায় ভেজা বালু পরিবহন বন্ধের দাবীতে ব্যবাসয়ীসহ উপজেলাবাসীর ডাকা অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এতেও স্থায়ী কোন সমাধান উঠে আসেনি। আগামী তিনদিনের জন্য দুটি কমিটি করে চলমান সমস্যার সমাধানের জন্য শুধুমাত্র সময় নির্ধারন করা হয়।
সেমাবার দুপুর একটা থেকে কয়েকঘন্টাব্যাপী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ রুদ্ধদার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ডিসির সভাপতিত্বে জেলা পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, দুর্গাপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম, থানার ওসি শাহনুর এ আলমসহ বালু ব্যাবসায়ী, শ্রমিক নেতা ও স্থানীয় সুশীল সমাজ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমান ব্যাবসায়ী, স্থানীয় প্রশাসন, শ্রমিক নেতা, বালু ইজারাদার ও সুশীল সমাজের বক্তব্য শোনেন।
সভায় দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হলেও স্থায়ী কোন সিন্ধান্ত হয়নি। তবে মূল সমস্যা সমাধানে আগামী তিন দিনের সময় বেধে দেয়া হয়। এর জন্য ব্যবসায়ী ও শ্রমিক নেতাদের দিয়েই দুটি বাস্তবায়ন কমিটি গঠন করা হয়। যেগুলো মনিটরিং করবে স্থানীয় প্রশাসন। সেই সাথে দুর্গাপুর সোমেশ^রী নদীর ৫ টি বালু ঘাটের মধ্যে এক নং ইজারাদারা উপস্থিত না থাকায় কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
তবে সভায় পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী জনগনের দুর্ভোগ লাঘবে দিনের বেলায় বালু পরিবহন বন্ধ রাখার জন্য সকল ব্যাবসায়ীদের প্রতি আহ্বন জানান।
সভায় দুর্গাপুর উপজেলা সুজনের সভাপতি অজয় সাহা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দুর্গাপুরবাসী দূর্ঘটনা রোধে অবৈধ লড়ি গাড়ীসহ ভেজাবালু পরিবহন বন্ধে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।
গত ১৯ জানুয়ারী আন্দোলন করে ব্যাবসায়ী ও এলাকাবাসী সড়কে কাঁদার ওপর বসে অবস্থান নেয়।
সেইসাথে তিন দিনের সময় দিয়ে উপজেলা নির্বাহী বরাবর আবেদন করে। উপজেলা প্রশাসনের আশ^াসের প্রেক্ষিতে তারা আন্দোলন থেকে সরে আসলেও কোন ব্যবস্তা নেয়া হয় নি। এমনকি আরো বেপরোয়া চলাচল শুরু করে। পরবর্তীতে পুরো উপজেলাবাসী ও বনিক সমিতি এক হয়ে গত রবিবার অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দেয়। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলেও তিনি নেত্রকোনা চলে আসেন।
পরে উপজেলা শহীদ মিনার চত্বরেই সমাবেশ ডাকে। সেইসাথে জেলা প্রশাসক না যাওয়া পর্যন্ত সমাবেশ চলবে বলেও জানানো হলে অবশেষে জেলা প্রশাসকের পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) দেওয়ান তাজুল ইসলাম উপস্থিত হন। পরে তিনি সোমবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দুপুরে সভার আহ্বান করলে আন্দোলন স্থগিত করা হয়।
তিনি আরো বলেন, বারবার প্রশাসনের আইন উপেক্ষা করে তারা কয়েকজন মাত্র পুরো উপজেলাবাসীকে জিম্মি করে রেখেছে।
এটি প্রশাসনের ব্যার্থতা কিনা জানতে চেয়ে তিনি জেলা প্রশাসকের কাছে আশু সমাধান চান।