নেত্রকোনা জেলার সীমান্ত উপজেলা কলমাকান্দার দরিদ্র পরিবারের মহিলা মাদরাসা শিক্ষার্থী নিখোঁজ রুপালিকে উদ্ধারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাবা। সোমবার বেলা ১২ টায় জেলা প্রেসক্লাব হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
এ সময় নিখোঁজের বাবা মুজিবুর রহমান লিখিত বক্তব্যে জানান, শিশু বয়স থেকেই তার মেয়েটি মাতৃহারা। আর গেল ৪ মাস ধরে নিখোঁজ মেয়েকে তিনি খঁজতে খুঁজতে দিশেহারা।
এ ঘটনায় অপহরণকারী হিসেবে পার্শ্ববর্তী চাচাতো ভাইদের আসামি করে কলমাকান্দা থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করলেও অধ্যবধি উদ্ধার হয়নি মেয়ে রূপালী।
এমন অবস্থায় হতদরিদ্র পিতার মেয়েকে উদ্ধারে জেলা পুলিশের তৎপরতাসহ সাংবাদিকদের সহায়তা কামনা করেন অসহায় দরিদ্র পিতা মুজিবুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরো জানান, নিখোঁজ হওয়ার এক সপ্তাহ আগেও একবার প্রতিবেশী চাচাতো ভাইদের বাড়ি থেকে রূপালী কে উদ্ধার করে দিয়েছিলো পুলিশ। কিন্তু দ্বিতীয় বারের মতো দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ থাকলেও অধ্যবধি উদ্ধার হয়নি রুপালি। বিভিন্ন দারে দারে ঘুরে তিনি অবশেষে সাংবাদিকদের সরনাপন্ন হয়েছেন বলেও জানান।
এসময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন অসহায় একজন পিতা। কোন উপায়ান্তর না দেখে তিনি দরিদ্র হয়েও হলভাড়া দিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন করেছেন। যদি তার মা মরা মেয়েটি ফেরত আসে। তিনি এও জানেন না তার মেয়ে বেঁচে আছে কিনা মরে গেছে। গত চারমাস ধরেই তিনি বিভিন্ন জায়গায় জায়গায় খুঁজে মেয়েকে অর্থ ব্যায় করছেন। কখনো দিনভর না খেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এমন মর্মান্তিক কষ্টের কথা তুলে ধরে তিনি তার মেয়েকে খুঁজে দিতে সবার প্রতি অনুরোধ রাখেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে কলমাকান্দা থানার ওসি আব্দুল আহাদ বলেন, অপহরণ মামলার আসামি ধরে জেল হাজতে পাঠানোর পর তারা জামিনে বেরিয়েছেন। তাদেরকে চোখে চোখেই রাখছি। তবে জানা গেছে মেয়েটির মা মারা যাওয়ার পর বাবা আরেকটি বিয়ে করায় সৎ মায়ের সাথে বনিবনা কম হয় ঘরে। সেকারণে মেয়েটি আরও কয়েকবার চলেও গিয়েছিলো। চাচাতো ভাই বোনরা সহযোগিতা করেছিলো পরে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছি বিষয়টি। উদ্ধারের অভিযানএ অব্যাহত রয়েছে।