Friday, March 29, 2024
মূলপাতাহিমু পাঠক আড্ডানেত্রকোনায় যতীন সরকারের জন্মদিন পালিত

নেত্রকোনায় যতীন সরকারের জন্মদিন পালিত

করোনাকালীন সময়ে নেত্রকোনায় সীমিত ভাবে পালিত হয়েছে দেশবরেণ্য স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রাবন্ধিক লেখক অধ্যাপক যতীন সরকারের ৮৬ তম জন্মদিন। এ উপলক্ষে বুধবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় যতীন সরকারের নিজ বাসভবন সাতপাই গাড়া রোডের বানপ্রস্থতে কেক কাটেন তিনি। হিমু পাঠক আড্ডার আয়োজনে সীমিত পরিসরে লেখক প্রাবন্ধিক অধ্যাপক যতীন সরকার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে সংগঠনের সীমিত সংখ্যক সদস্যদের সাথে কেকটি কাটেন। এসময় হিমু পাঠক আড্ডার সদস্য নাজনীন সুলতানা সুইটি, তানভীর হায়াৎ খান, রিফাত আহমেদ রাসেল, পার্থ প্রতিম সরকার ও আবু সুফিয়ানসহ বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন। পরে জন্মদিন উদযাপন পর্ষদের উদ্যোগে ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানে যুক্ত হন তিনি।

প্রতিবছর অধ্যাপক যতীন সরকারের নেত্রকোনা পৌর শহরের সাতপাই বানপ্রস্থে জন্মদিনের কেক কাটা ও কবিতা পাঠসহ সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় আনন্দঘন পরিবেশে পালিত হয়ে আসলেও করোনায় গত দুবছর যাবৎ অনলাইনে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে ভক্ত অনুরাগীরা।

এবার অনলাইনে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, কেন্দ্রীয় সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, ঢাকা থেকে সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ভূমি মন্ত্রনালয়ের উপ সচিব মঈন উল ইসলাম, নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক কাজি মো. আব্দুর রহমান, পুলিশ সুপার মো. আকবর আলী মুনসী, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সম্পাদক গাজী মোজাম্মেল হোসেন টুকুসহ জেলার শীর্ষ পর্যায়ের সাংস্কৃতিক সামাজিক নেতৃবৃন্দ ও কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক যতীন সরকার ১৯৩৬ সনে জেলার কেন্দুয়া উপজেলার চান্দপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। আজীবন তিনি ময়মনসিংহে থেকেছেন এবং নাসিরাবাদ কলেজে বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। তার রচিত গ্রন্থসমূহ তার গভীর মননশীলতা ও মুক্তচিন্তার স্বাক্ষর বহন করে।

১৯৬০-এর দশক থেকে তিনি ময়মনসিংহ শহরের সকল সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি অসাধারণ বাগ্মীতার জন্য জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার উপস্থিতি শহরের প্রতিটি সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক ও শিক্ষামূলক প্রোগ্রামে অনিবার্য ছিল। তিনি সাংস্কৃতিক উদিচী শিল্পী গোষ্ঠীর সভাপতি ছিলেন। তিনি ময়মনসিংহ প্রেস ক্লাবের পদক লাভ করেছেন।

২০০৫ সালে প্রকাশিত পাকিস্থানের জন্ম মৃতু-দর্শনসহ প্রায় অর্ধশত বই প্রকাশ হয়েছে। ২০০৭ সালে তিনি শাস্্র ও সমাজ (শমজ) নামক একটি পত্রিকা শুরু করেছিলেন, ২০০৮ সালে তিনি বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে তাকে স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments