নারী ও কন্যাশিশুর প্রতি নির্যাতন ও সহিংসতা দূরীকরণের সুযোগ তৈরি করার লক্ষ্যে কমিউনিটি নারী কর্তৃক পরিচালিত সামাজিক নিরীক্ষার ফলাফল অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১২ টায় নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের হলরুমে বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ এই সভার আয়োজন করে। এতে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন সেবা পাওয়ার ধারণা ও বাধাসমূহ নিরুপন বিষয়ক সামাজিক নিরীক্ষা তুলে ধরা হয়।
জেলার সদর, বারহাট্টা ও মোহনগঞ্জ এই তিন উপজেলার গ্রামের নারীদের সম্পৃক্ত করে ১৪ টি ইউনিয়নের ১০ টি ইয়থ ও ১৫ টি কমিউনিটি দলের ৩১ জন সদস্যরা এই সামাজিক যোগাযোগ করে থাকেন। সকল প্রকার বৈষম্যমুক্ত একটি সমাজ গঠনের লক্ষ্যে ক্ষমতায়ন ও সামাজিক রূপান্তরের মাধ্যমে সমতা প্রতিষ্ঠা করাই মূল কাজ।
তারা সরকারি বিভিন্ন সেবা প্রাপ্তদের তথ্য সংগ্রহ করে যাচ্ছে। সেবাগুলো থেকে বঞ্চিতদেরকে সেবা পাওয়ার পদ্ধতি শেখানোসহ ধারণা দেয়ার কাজ করে যাচ্ছেন।
মূলত সরকারি কার্যক্রম সম্পর্কে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করে জেন্ডার সংবেদনশীলতা, ধর্ম নিরপেক্ষতা, অগ্রসর মত ও চিন্তার অন্তর্ভুক্তি, পরিবেশের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব আরোপসহ স্থায়িত্বশীলতা সৃষ্টি করা। সভায় সরকারি সকল দপ্তরের প্রতিনিধিসহ জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।
সভায় জেলা প্রেসক্লাবের সম্পাদক এম মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ পরিচালক মো. আলাল উদ্দিন, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ পরিচালক নাজনীন সুলতানা, জেলা সমাজসেবার সহকারী পরিচালক মাহবুবুল আলম, সদর সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক সাংবাদিক আলপনা বেগম, সদরের যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা গাজী মোবারক, নারী প্রগতি সংঘের নেত্রকোনা ব্যবস্থাপক মৃণাল কান্তি চক্রবর্তী, প্রকল্প সমন্বয়কারী সঞ্চিতা মল্লিক, রৌহা ইয়থ দলের লিডার শারমিন আক্তার রাসা, রায়পুর ইউনিয়নের যুব উদ্যোক্তা পপি আক্তার, বারহাট্টা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আলা উদ্দিন, কাইলাটি ইউনিয়নের রিপা আক্তার, বারহাট্টা মহিলা বিষয়ক অফিসার নাসরীন জাহান, সদরের পল্লী সহায়ক ব্যাংকের ম্যানেজার সাইফুল ইসলামসহ বিভিন্ন দলের নেতৃবৃন্দ।