Thursday, December 5, 2024
মূলপাতানেত্রকোনার সংবাদদূর্গাপুর উপজেলাপাওয়া টাকা চাওয়ায় খুন হন হেকমত আঘত মাসুদ আটক

পাওয়া টাকা চাওয়ায় খুন হন হেকমত আঘত মাসুদ আটক

পাওয়া টাকা চাওয়ায় কারণেই খুন হন নেত্রকোনার দুর্গাপুরের তেল ডিজেল ব্যবসায়ী হেকমত আলী। বুধবার গাজীপুর থেকে আঘত মাসুদ মিয়াকে আটকের পর সিআইডি কাছে এমনই স্বীকার উক্তি দেন তিনি।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর সিআইডি দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ধারের প্রায় ১ লাখ টাকা পরিশোধ না করতেই জ্বালানী তেল কেনার কথা বলে দোকানের ভেতরে ঢুকে খুন করা হয় হেকমত আলীকে। এই সময় লুট করা হয় ১০ লাখ টাকা। আসামি মাসুদ মিয়া ড্রাম ট্রাকের চালক।

এর আগে গত ২০ মার্চ নেত্রকোনার দুর্গাপুরে আত্রাখালি ব্রিজের উত্তরে মধ্যমবাগান এলাকায় তেল ডিজেলের দোকান মালিক ৬৫ বছরের বৃদ্ধ হেকমত আলীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

এই ঘটনায় গত ২১ মার্চ নিহতের ছেলে মাহাবুব আলম বাদী হয়ে মাসুদ মিয়া সহ চার জনকে আসামি করে দণ্ডবিধি ৩০২, ৩৯৪ ধারায় দস্যুতা ও হত্যা অপরাধ আইনে দুর্গাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় গত ২২ ও ২৩ মার্চ তালিকাভক্ত দুই আসামি সিদ্দিক মিয়া এবং রাইদুল ইসলামকে আটকের পরে জেলহাজতে প্রেরণ করনে পুলিশ। সর্বশেষ এই মামলার প্রধান আসামী মাসুদ মিয়াকে আটকের পর সিআইডি। বর্তমানে মামলাটিও তদন্ত করছেন সিআইডি।

এই দিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ মার্চ রোববার সন্ধ্যায় হেকমত আলী দোকানের টাকা গুনতে থাকেন। এ সময় সোমেশ্বরী নদীর ১ নং ঘাটের বালু টানার লড়ি চালক স্থানীয় জালাল মিয়ার ছেলে মাসুদ দোকানেই বসা ছিলেন। মাসুদ হেকমত আলীর দোকানে প্রায়সময়ই বসতেন। এলাকায় উচ্ছৃঙ্খল হিসেবে সবার কাছেই পরিচিত মাসুদ। ওই ঘাটের নিয়ন্ত্রণ করেন দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র আলা উদ্দিন আলাল। দিনরাত ওই ঘাটে অবাধে চলে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন। যা থেকে লড়ি চালক মাসুদসহ অন্যরা বালু নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠায়। এখান দিয়ে যাওয়া আসা এমনকি ড্রেজারের তেল ও ডিজেলও নেন তারা হেকমত আলীর দোকান থেকে। ওইদিন হেকমত আলী বড় এমাউন্টের চালানের টাকা প্রস্তুত রাখেন।

হেকমত আলী ১০ লাখ টাকা গুণে রাখার সময় মাসুদ তা দেখেছিলো। পরের দিন টাকা তেলের কোম্পানিতে জমা দেয়ার কথা। রাতে একটার সময় মাসুদ দোকানে ঢুকে টাকা নিতে চাইলে চাচা হেকমত বাধা দেন। এসময় মাথায় আঘাত করে ও গলায় দড়ি প্যাঁচিয়ে মেরে ফেলে। ধস্তাধস্তির সময় ওই ঘাটের আরেক ড্রেজার ব্যবসায়ী শাহিন মিয়া তেল নিতে আসলে মাসুদকে দেখে ফেলে। কিন্তু মাসুদ পালিয়ে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।

মাহাবুব আলম জানান, আমি প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই। দ্রুত সময়ের মাঝে আসামিদের গ্রেফতার করার জন্য। সেই সাথে আশা করি বাকী আরেক আসামী মাসুদের বাবা জালাল মিয়াকেও খোঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। আমি চাই আমার পিতার মত আরো পিতা যেনো অন্যায় ভাবে হত্যার শিকার না হন। এব্যাপারে সকল ব্যবসায়ীদের আরো বিশেষ ভাবে সতক থাকতে হবে। কাউকেই যেনো তারা সহজ বিশ্বাস না করেন।

এই দিকে দুর্গাপুর থানার উপ পরির্দশক শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা মামলার তালিকাভক্ত দুই আসামি সিদ্দিক মিয়া এবং রাইদুল ইসলামকে আটকের পর জেলহাজতে প্রেরণ করি। এবং গত ২৭ মার্চ মামলাটি সিআইডির কাছে হন্তাতর করেছি। এখন সিআইডি মামলাটি তদন্ত করবেন।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments