ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার সীমান্ত উপজেলার দুর্গাপুরের পাহাড়ী নদী সোমেশ্বরী নদীর পানি কিছুটা কমলেও অন্যসব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন। দুর্গাপুরের শিবগঞ্জ, ডাকুমারা, কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কামারখালী, বহেরাতলী, বড়ইকান্দি, রানীখংসহ বিভিন্ন এলাকায় ভাঙ্গন আতঙ্কে স্থানীয়রা।
এদিকে অব্যাহত বৃষ্টি আর ঢলে বেড়েছে জেলার আরেক সীমান্ত কলমাকন্দা উপজেলার গোলাম খালি নদীর পানি। এই নদীর পানি বৃদ্ধিতে পোগলা ইউনিয়নের রানীগাও বাজার সংলগ্ন এলাকায় বাঁধের কিছু অংশ ভেঙ্গে যাওয়ায় তীরবর্তী নিন্মাঞ্চলের কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েকশত পরিবার। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এ ছাড়াও কলমাকান্দার উদাখালী, কংস, হাওর এলাকার ধনু ও নেত্রকোনা পৌর শহরের মগড়া নদীসহ প্রায় সবগুলো নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বৃষ্টিপাত কমে যাওয়ায় জেলার নিন্মাঞ্চল থেকে পানি কিছুটা নামতেও শুরু করেছে। এদিকে কলমাকান্দায় বাঁধ ভাঙ্গার ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রোকৌশলী মোহন লাল সৈকত দাবী করেন এটি ডুবন্ত বাঁধ। অন্যদিকে জেলা প্রশাসক কাজি মো আবদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে তিনি সরেজমিনে যাচ্ছেন খোঁজ নিতে।