নেত্রকোনার দুর্গাপুরে শফিকুল ইসলাম (৪৫) নামে এক পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা পাঁচ থেকে ছয়জনকে আসামি করে দুর্গাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন নিহতের বাবা রফিকুল ইসলাম।
শুক্রবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুর্গাপুর থানার ওসি বাচ্চু মিয়া।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে চন্ডিগড় ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে জানাজায় নামাজ শেষে দাফন করা হয়েছে নিহত পুলিশ সদস্য শফিকুল ইসলামকে।
এছাড়াও শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি আবুল কালাম আযাদ ও জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাহেব আলী পাঠান। পরে বিকেলে নিহত পুলিশ সদস্যের গ্রামের বাড়িতে জানাজায় অংশ নেন ও নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে বাজারে যাচ্ছিলেন শফিকুল ইসলাম। বাজার থেকে ফেরার পথে ৬টা ২০ মিনিটের দিকে পৌর শহরের পান মহল সংলগ্ন একটি গলি সড়কে অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জন দুষ্কৃতিকারী ধারালো অস্ত্র দিয়ে শফিকুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে দুই হাত, পায়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে। অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে শফিকুল ইসলামের ডান পায়ের গুড়ালীর অংশ আলাদা হয়ে যায়।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছালে চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, শফিকুল ইসলাম জামালপুরে বেতারে এসআই পদে কর্মরত ছিলেন। গত ৮ জানুয়ারি ছুটিতে তিনি বাড়ি এসেছিলেন। এখন পর্যন্ত হামলার কারণ জানা যায়নি। তবে আলামত হিসেবে সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ভিডিও দেখে হামলাকারীদের সনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এদিকে ঘটনার ২৪ ঘন্টা পার হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে শনাক্ত কিংবা গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে দোষীদের গ্রেফতারে অভিযান চালিয়ে বলে জানান দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাচ্চু মিয়া।