নেত্রকোনার পূর্বধলায় নিজ ঘর থেকে মা ও মেয়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শ^শুর বাদী হয়ে জামাতাকে একমাত্র আসামী করে বুধবার বিকালে পুর্বধলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ মো. মোস্তাকীনকে আটক করে। এদিকে বিছানায় শুয়ে থাকা রূপালী আক্তার (২৭) ও সাথে মেয়ে রুবাইয়া তাবাসসুম মুনের (৭) মৃতদেহ উদ্ধার নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। রূপালী আক্তার ওই গ্রামের রজব আলীর ছেলে মো. মোস্তাকীনের স্ত্রী ও একই উপজেলার জারিয়া ইউনিয়নের বারহা গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে।
মঙ্গলবার বিকালে লাশ উদ্ধারের পর রাত থেকে বুধবার দিনভর বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মা মেয়ের মৃত্যু হয়েছে বলে শ^শুর বাড়ির লোকজন দাবী করলেও স্থানীয়দের কাছে রহস্যজনক মনে হওয়ায় পুলিশে খবর দিলে তারা দিনভর খোঁজ খবর নিয়ে সন্ধ্যায় মামলা নেয়। এদিকে রূপালির বাবা আব্দুর রশিদের দাবী তার মেয়ে ও নাতীকে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, মোস্তাকীমের পরকীয়ার কারণে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগে থাকতো।
মামলার বাদী আব্দুর রশিদ জানান, গত ১০/১২ বছর আগে তার মেয়েকে বিয়ে দেন একই উপজেলার জামতলা গ্রামের রজব আলীর ছেলে মো. মোস্তাকীনের সাথে। মেয়ের জামাই ফায়ার সার্ভিসের ময়মনসিংহ বিভাগীয় কন্টোল রুমে কর্মরত। তার মেয়ের ৭ ও ২ বছরের দুটি কন্যা সন্তার রয়েছে। গত ১৫দিন আগে জামাই মেয়েকে পিটিয়ে তার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে বুঝিয়ে গত দুদিন আগে স্বামীর বাড়িতে রেখে যান। পরদিন সকালে শুনতে পান মেয়ে ও নাতির মৃত্যুর খবর। তিনি এই হত্যার বিচার দাবী করেন।
তবে পুর্বধলা থানার ওসি মোহাম্মদ রিয়াদ মাহমুদ জানান, থানায় মামলা হয়েছে আসামী একজনই। যৌতুকের জন্য মেরেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করার বিষয়টি তিনি নিশ্চত করেছেন। আসামী কোথা থেকে আটক হয়েছে তা নিয়ে বলেন আটক হয়েছে এটাতেই থাকেন।
নেত্রকোনা জেলা পুলিশের মুখপাত্র মো. লুৎফর রহমান জানান, শ^শুর বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মামলার সাথে সাথে আাসামীও গ্রেফতার হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ।।