পরিক্ষার আগে প্রশ্ন দিয়ে ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেয়া প্রধান শিক্ষক সুহেল মিয়াকে বিদ্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখলে মদন থানার পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার ৫ দিন পর বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষক দিবসে জেলার মদন উপজেলায় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে গেলে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনার মদন উপজেলার মাঘান ইউনিয়নের চৌধুরী তালে হোসেন মিছিলজান একাডেমীর প্রধান শিক্ষক সুহেল মিয়া এসএসসি নির্বাচনী পরিক্ষার দুই দিন আগে (২১ অক্টোবর শুক্রবার) এক ছাত্রীর ইমু নাম্বরে প্রশ্ন পাঠান। প্রশ্নের বিনিময়ে ওই ছাত্রীকে তিনি কু-প্রস্তাব দেন। বিষয়টি পরিক্ষার দিন সকালে (২৩ অক্টোবর) বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানতে পেরে প্রধান শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এ ঘটনায় পাঠানো প্রশ্নটি বাতিল করে অন্য প্রশ্ন দিয়ে পরিক্ষা নেয়া হয়। পরে ভুক্তভোগীর বড় ভাই রবিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এরমাঝে ঘটনার ৫ দিন পর বৃহস্পতিবার শিক্ষক দিবসে প্রধান শিক্ষক সুহেল মিয়া বিদ্যালয়ে গেলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক সুহেল মিয়া স্থানীয় সাংবাদিকদরেকে জানান, আমি বিদ্যালয়ের যাওয়ার পর অনেক লোকজন আমার ওপর হামলা করতে আসে। পরে আমি আমার অফিস কক্ষের দরোজা ভেতর থেকে আটকিয়ে শিক্ষা অফিস ও পুলিশের সহযোগীতা নিয়েছি।
এ ব্যাপারে মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, প্রধান শিক্ষক আমাদেরকে ফোন করলে আমরা তাৎক্ষণিক বিদ্যালয়ে গিয়ে বাইরে কাউকে পাইনি। তিনি আরও জানান, ছাত্রীর ভাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগ দিলে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তানজীনা শাহরিন জানান, বৃহস্পতিবার আমরা এমন একটি খবর শুনেছিলাম যে ওই প্রধান শিক্ষক সুহেল মিয়াকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সাথে সাথে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশ গিয়ে এমন কিছু সেখানে পায়নি বলে আমাদেরকে জানিয়েছে। পরিবেশ শান্ত পেয়েছে পুলিশ।
তিনি আরও জানান, ছাত্রীর ভাইয়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৫ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।