নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের নির্ধারিত তারিখে অনুষ্ঠিব্য নির্বাচনে প্রহসনমুলক স্থগিতাদেশের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে নেত্রকোনার সাংবাদিকরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা থেকে ১ টা পর্যন্ত নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া পৌরসভার সামনের সড়কে এই অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
প্রেসক্লাবের বাইরে থাকা নানা অপকর্মে অভিযুক্ত নামধারী সংবাদকর্মীর করা মামলায় আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে প্রথম দিন অনিদিষ্টকালের কর্মবিরতি পালনের পর আজ দ্বিতীয় দিনে সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদ সভা পালন করছেন প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা।
জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক সিনিয়র সাংবাদিক শ্যামলেন্দু পালের সভাপতিত্বে প্রহসনের রায় দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে বিচারকের অপসারণ দাবী করেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। এসময় বক্তারা বলেন, আদালত থেকে রায় ঘোষণা হবার আগে থেকেই নির্বাচন স্থগিতাদেশ হবার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ সাধারণ মানুষের মুখে মুখে ঘুরে বেড়ায়। যে কারণে সাংবাদিকরা এই রায়কে প্রেসক্লাবের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক প্রহসনের রায় বলে আখ্যায়িত করেন।
কাজেই এই প্রহসনের রায়কে অবিলম্বে বাতিল ঘোষণা করে দ্রুত সময়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় প্রেসক্লাবের নির্বাচন সম্পন্ন করার দাবী জানানো হয়। তারা আরও বলেন প্রেসক্লাবের সদস্যও নয় আবার সামাজিক গ্রহণ যোগ্যতাহীন ব্যাক্তির মামলা করার এখতিয়ার বহির্ভূত মামলায় কি করে এমন রায় দেন এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাংবাদিকসহ সূধী সমাজে। এতে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ বক্তব্য রাখার পাশাপাশি আগামী দিনে পুরো শহর অচল করে দেয়ার হুমকি প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবে সদস্য হওয়ার জন্য আবেদন করলেও গঠনতন্ত্র মোতাবেক যোগ্যতা না থাকায় তার সদস্যপদ প্রদান করা হয়নি।
যে কারণে প্রেসক্লাবের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে এবং নির্বাচন বানচালের জন্য ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করলে ২২ মার্চ নির্বাচনে ভোট গ্রহণে সিনিয়র সহকারী জজ আদালতের বিচারক মো. আরিফুল ইসলাম নির্বাচনের আগেরদিন ২১ মার্চ বিকাল সাড়ে চারটায় এই প্রহসনের রায় প্রদান করেন।