Saturday, November 2, 2024
মূলপাতাঅন্যান্যবন্যায় পানিবন্দীর পাশাপাশি কৃষিতে ক্ষতি তিন কোটি টাকা

বন্যায় পানিবন্দীর পাশাপাশি কৃষিতে ক্ষতি তিন কোটি টাকা

বন্যার উন্নতি হলেও অনেক এলাকা এখনো তলিয়ে কৃষকসহ মাছের ঘের ভেসে গেছে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সড়ক

গেল ছয়দিন ধরে নেত্রকোনার চার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পানিতে নিমজ্জিত হয়ে লাখো মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়ে।

গতকাল থেকে পাহাড়ি নদ নদীর পানি বিপদসীমার নিচে নামায় বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে।

তবে খুবই ধীরগতিতে পানি নামায় আজো অনেক এলাকার সড়ক পানিতে তলিয়ে।
কংস নদীর পাড়ের এলাকাগুলো পানিতে তলিয়েই রয়েছে।
সদর উপজেলার কেগাতিসহ বিভিন্ন গ্রামে বাড়িঘরের ওঠোনে এখনো আটকে আছে পানি। ফসলি জমিরও একই অবস্থা।
জেলার পুর্বধলা, দুর্গাপুর, কলমাকান্দা, সদরের প্রায় ২৭ টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
প্রায় লাখো মানুষ পানিবন্দী। ধানের জমি তলিয়েছে প্রায় ২৩ হাজার।
মাছের ঘের পুকুর প্রায় চৌদ্দ’শর উপরে তলিয়ে আনুমানিক আট কোটির উপরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এছাড়াও গ্রামীণসহ বিভিন্ন আন্ত সড়কের প্রায় অর্ধশত সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। যদিও সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে এখনো সঠিকভাবে নিরুপণ করা হয়নি।
তবে পানি সম্পুর্ন নেমে গেলে এই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ ঢল আসলেই গেল কয়েক বছর ধরে গ্রামের পর গ্রাম পানিতে তলিয়ে যায়।
নেত্রকোনা বড়ওয়ারী সিধলী সড়কটির প্রায় এক থেকে দেড় কিলোমিটার অংশ ডুবে থাকায় মানুষ ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করছে।
অটো রিলশায় আসলেও নৌকা বা ছোট ফেরি দিয়ে ডুবন্ত এলাকা পারি দিয়ে আবারও অপর প্রান্ত থেকে যানবাহনে চড়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
এতে ভোগান্তি বেড়েছে চরমে।
অথচ আগেও পাহাড়ি ঢল আসতো নদীগুলো দিয়ে।
কিন্তু এভাবে মানুষ পানিবন্দী হতো না।
এর থেকে পরিত্রাণ চান এসকল ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments