বসন্তের বৃষ্টিতে নেত্রকোনার হাওর এলাকার প্রাণ প্রকৃতিতে যেন মিলেছে স্বস্তি। রবিবার সকাল থেকে আকাশ মেঘলা হয়ে থাকলেও এক পর্যায়ে মানুষের আকাঙ্খিত ভারি বৃষ্টির বদলে গুড়িগুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। ফলে ভিজেছে প্রকৃতি। ধুলোবালিতে নাকাল নগরবাসীর মাঝেও দেখা দিয়েছে স্বস্থি। অন্যদিকে হাওরের কৃষি ফসলের জন্যেও আশীর্বাদ হয়েছে স্বল্প সময়ের এই বৃষ্টি। পনেরো থেকে মাত্র বিশ মিনিটের বৃষ্টিতেই গাছের পাতারা ভিজে নিয়েছে।
সড়কে ধুরোবালিতে চলাচলকারী নাকাল নেত্রকোনা সরকারি কলেজের ছাত্র আহসান ফাহিন ও পরান খান বলেন, মুখে মাস্ক পড়ে চলতে হয়। ধুলাবালির জন্য হাঁচি-কাশি লেগে ছিলো কদিন ধরেই। বৃষ্টি কম হলেও কিছুটা বালু মজেছে। ফলে হাঁটতে ভালো লাগছে। এদিকে গুড়িগুড়ি এ বৃষ্টি ফসলের জন্যে উপকারী হবে বলে মনে করছেন হাওরের কৃষকেরা।
আটপাড়া উপজেলার কৈলং গ্রামের কৃষক মীর্জা বুলবুল মিয়া জানান, সাময়িক বৃষ্টি হলেও এর উপকারিতা অনেক বেশি। সম্পুর্ণ গাছটি ভিজলে ফসলের জন্য উপকারী। এই মওসুমে প্রচুর পরিমাণে সেচ লাগে প্রতিনিয়ত। এর মাঝে বৃষ্টিটি কাজে লাগছে। তবে শিলা সহ অন্য কোন দুর্যোগ না হলে সকলেরই উপকারী হয়েছে। আবহাওয়া অধিদফতরের নেত্রকোনা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন জানান, এই বৃষ্টি আজ বা কাল পর্যন্ত থাকতে পারে। তবে দীর্ঘ সময় হওয়ার সম্ভাবনা আপাতত নেই।
নেত্রকোনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মোহাম্মদ নুরুজ্জামান জানান, এ সময়ের বৃষ্টি সকল ফসলের জন্যে উপকারী বিশেষ করে বোরোধান চাষের জন্য বেশ উপকারী। ধানচাষে পর্যাপ্ত পানি প্রয়োজন হওয়ায় এই প্রাকৃতিক পানির বিকল্প নেই। ফলে কৃষকের ফসলের জমিতে সেচের পানির পরিমান কিছুটা কম লাগবে।
তিনি জানান, এবছর জেলায় বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৮৫ হাজার ৪৮০ হেক্টর। এরমধ্যে হাওর অঞ্চলেই আবাদ হয়েছে ৪১ হাজার হেক্টর।