সোমবার, জুন ২৩, ২০২৫
27.6 C
Netrakona
সোমবার, জুন ২৩, ২০২৫
মূলপাতাঅন্যান্যবাঁচার আকুতি জুলহাসের, যেতে চাই কলেজে

বাঁচার আকুতি জুলহাসের, যেতে চাই কলেজে

আল নোমান শান্ত

সবেমাত্র কলেজ জীবনের ইন্টার গণ্ডি পেরিয়ে ডিগ্রিতে যাত্রা শুরু। স্বপ্ন ছিল পড়াশোনা করে মানুষের মতো মানুষ হয়ে বাবার সংসারের হাল ধরবেন। কিন্তু সেই স্বপ্ন পুরণের আগেই মাত্র ২১ বছর বয়সে তার শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যান্সার।

নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কাকৈরগড়া ইউনিয়নের ইন্দ্রপুর গ্রামের দরিদ্র পরিবারের সন্তান জুলহাস মিয়া। তাকে ঘিরে বাবা মায়ের ছিল যত স্বপ্ন কিন্তু দেড় বছর আগে ছেলের মলদ্বারে ক্যান্সারে সব কিছুই যেন উল্টাপাল্টা হয়ে যায়।

সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, একা-একা চলাফেরা করতে পারে না জুলহাস। গোসল কিংবা খাবার খাওয়া সব কিছু চলে মা-বাবার সহযোগীতায়। কখনও খেতে পারে কখনও না। এভাবেই কষ্টের মধ্যে দিয়ে থমকে আছে তার জীবন।

মরণব্যাধি ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে ময়মনসিংহ,ঢাকা চিকিৎসার ইতি টেনেছেন। পেটে পানি চলে আসায় হয়নি অপারেশনও। এখন শয্যাশায়ী, দিন-রাত কাটে বিছানায় জুলহাসের। বাঁচার আকুতি তার, সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ডিগ্রি ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী সে। সুস্থ হয়ে যেতে চায় কলেজেও। নিজের অসুস্থতার কথা ভেবে বার-বার কান্নায় ভেঙে পড়ছে।

জুলহাস মিয়া বলেন, বাবা-মা আমাকে নিয়ে অনেক কষ্ট করতেছে। যা ছিল সব কিছুই বিক্রি করে আমার চিকিৎসার পিছনে খরচ করেছে। আমি সবার কাছে দোয়া ও সহযোগিতা চাই। আমি সুস্থ হলে প্রতিবছরই একবার চিল্লাতে যাবো আর পড়াশোনাও শুরু করে কলেজে যেতে যাবো।

জুলহাসের বাবা কমল মিয়া বলেন, যা ছিল নিজের সবকিছুই বিক্রি করে খরচ করেছেন চিকিৎসায়। এখন অটো চালিয়ে দিন-রাত পরিশ্রম করে যা পাচ্ছি তাতেই কোনোভাবে চালাচ্ছি চিকিৎসা। কোনো কোনো সময় করতে হচ্ছে ঋণ।

এদিকে যতই দিন যাচ্ছে ছেলের চিন্তায় ভেঙে পড়ছেন মা সাবিকুন্নাহার। তিনি বলেন, আমার গত দেড় বছর ধরে অসুস্থ। এর মধ্যে কলেজে গিয়ে ভর্তি হয়ে আসছে। ছেলেকে নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন ছিল। আল্লাহর কাছে চাওয়া আমার ছেলে ভালো উঠুক।

বাবা-মায়ের দুই ছেলে-মেয়ের মধ্যে জুলহাস ছোট। যা ছিল সব কিছুই বিক্রি করে দিয়েছেন। রইনি আর কিছু। বর্তমানে জুলহাসের চিকিৎসা চালাতেও বাবার পক্ষে এখন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। তাই সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের কাছে অর্থিক সাহায্য কামনা করেছেন পরিবার।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments