বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার নেত্রকোনা প্রতিনিধি এবং নিউ নেশনের সাংবাদিক এম ফখরুল হকের জানাযা শেষে পৌর কবস্থানে বাবার কবরের পাশে শায়িত করা হয়েছে।
সন্ধ্যায় মরহুমের মরদের মোক্তারপাড়া প্রেসক্লাবে মিলনায়তনে আনার পর সাংবাদিক ও সামাজিক সংগঠনগুলো ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।
পরে চন্দ্রনাথ স্কুল মাঠে জানাযা শেষে সাতপাই গোরস্তানে দাফন সম্পন্ন হয়। এর আগে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার গভীর রাতে মারা যান।
সোমবার সকালে হার্ট অ্যাটাক হলে নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায় পরিবারের লোকজন।
সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
পরে সিটিস্কেন করার পর ধরা পড়ে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে মৃত্যু হয়।
এম ফখরুল হকের ছোট ভাই ফরহাদ হক এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রেসক্লাবের ৩২ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে পহেলা ডিসেম্বর রাতে বাসায় গিয়ে ঘুমান।
পরদিন সকালে খারাপ লাগায় হার্ট অ্যাটাক ভেবে দ্রুত হাসপাতালে নেয়া হয়। এরপর এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে। অবশেষে তাকে আর বাঁচানো গেল না।
প্রেসক্লাবে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাফিকুজ্জামান সহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় মরহুমের পক্ষ থেকে সাংবাদিকের নিকট ভুল ত্রুটির জন্য ক্ষমা চেয়ে মোনাজাত পড়েন নেত্রকোনা জেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব ম কিবরিয়া চৌধুরী হেলিম।
মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিলো ৬২ বছর। তিনি এক পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রেখে গেছেন। শহরের মালনি এলাকার বাসিন্ধা ছিলেন তিনি।