সম্রাট আকবরের আমলে খাজনা আদায়ের (হালখাতা) রীতি থেকে এই বর্ষবরণ প্রচলণ শুরু হয়। কৃষকেরা নতুন ফসল ঘরে তুলে বছরের দেনা শোধ করতেন। এরপর নতুন কাপড় কিনতেন। একটি নতুত্ব দিয়ে আনন্দের পরিবেশ থেকে এই বর্ষবলন প্রচলন। এটিকে বর্তমান সরকার নতুন রূপ দিয়েছে। সরকারী ভাবে পলিত হচ্ছে। এই সরকার বৈশাখী ভাতা চালু করে আমাদেরকে বাংলা নববর্ষের আনন্দ করার সুযোগ করে দিয়েছে। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। এখানে সকল ধর্মের বর্ণের মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে এই মঙ্গল শোভাযাত্রাটি। নেত্রকোনায় বর্ষবরণ উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। তিনি আরও বলেন, কাউকে ডেকে আনতে হয় না। প্রাণের বন্ধনে সকলেই মিলিত হন। কাজেই অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে লালন করে আমাদের দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। শুক্রবার শহরের ঐতিহাসিক মোক্তারপাড়া মাঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় বর্ষ বরণ। জেলা প্রশাসনের আয়োজনে এসো হে বৈশাখ এসো এসো এই গানের সাথে মঙ্গল শোভাযাত্রা বের করা হয়।
জেলা শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থী ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহ মঙ্গল শোভাযাত্রায় অংশ্রহণ করে। দীর্ঘ প্রায় আধা কিলোমিটার জুরে শোভাযাত্রায় গানের সাথে সাথে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে নেচে গেয়ে বর্ষ বরণের এক উৎসব পালন করে জেলাবাসী।
শোভাযাত্রাটি নিয়ে পুরাতন কালেক্টরেট মাঠে এসে শেষ হয়। কঠোর নিরাপত্তার বলয়ের মধ্য দিয়ে আনন্দঘন পরিবেশে নববর্ষের আয়োজন সফল এবং সার্থক করতে শোভাযাত্রা শেষে কালেক্টরেরট মাঠের মুক্তমনা মঞ্চে আলোচনা সভার আয়োজন করে স্থানীয় প্রশাসন।
সভায় জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালি, জেলা প্রশাসক পতি ঢাকা কলেজের সহযোগি অধ্যাপক আবুল কাশেম মো. জহুরুল হক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অসিত সরকার সজল, পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদ, পৌর মেয়র নজরুল ইসলাম খান।
এদিকে পহেলা বৈশাখে মাঠের বট গাছ তলায় মাটির তৈরী খেলনা নিয়ে বসে মৃৎ শিল্পীরা। এছাড়াও শীতল পাটি সহ নানা ধরনের পোশাকসহ কিছুর দোকান রয়েছে ১৫ টি। রয়েছে বিন্নি ধানের খইসহ মিষ্টি হাতি ঘোড়া। যা কিনে নিচ্ছেন দর্শনার্থীরা।