নেত্রকোনায় বরেণ্য লেখক হুমায়ুন আহমেদ এর ৭৬তম জন্মদিনে হিমু উৎসবের আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে গান গেছে মঞ্চ মাতালেন ডিসি বনানী বিশ্বাস। এসময় ওয়ান মোর ধ্বনিতেত একের পর এক গান পরিবেশন করেন তিনি।
মানুষের সুস্থ বিনোদন ফিরিয়ে আনতে এমন লেখ বুদ্ধিজীবিদের নিয়ে আয়েজনের মাধ্যমে তাদের সাহিত্য কর্মের দর্শন অত্যন্ত জরুরী বলে তিনি গানের পূর্বে প্রধান অতিথির বক্তেব্যে বলেন। গত বুধবার রাতে হিমু পাঠক আড্ডার আয়োজনে লেখকের জন্মদিনে নিজ জেলায় হিমু উৎসব আয়োজনের দ্বিতীয়ার্ধে গানে ও আড্ডায় আড্ডায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।
জেলা শিল্পকলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলে অনেক রাত পর্যন্ত। গানে ও আলোচনায় লেখকের কর্ম জীবনের নানা দিল তুলে ধরেন আলোচকরা।
এসময় সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক আলপনা বেগমের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মাঝে আলোচনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, শ্যামলেন্দু পাল, অধ্যাপক ননী গোপাল সরকার, আ.ফ.ম রফিকুল ইসলাম আপেল ও তমাল বোস। গান এবং নৃত্যের ফাঁকে ফাঁকে আলোচকরা লেখকের সাহিত্যকর্ম তুলে ধরেন।
শেষে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক আলোচনা করতে গিয়ে নেত্রকোনায় লেখক ভক্তদের এমন আড্ডায় নিজেই গান গেয়ে মাতিয়ে তোলেন মঞ্চ।
নতুন প্রজন্মকে সব দিক থেকে পারদর্শী হতে হবে বললেন তিনি। এসময় জেলা প্রশাসক আরও বলেন, এই জেলায় এতো গুণী মানুষ রয়েছেন যা হিসেব করে বলা লাগবে। সে জেলা শিক্ষা সংস্কৃতি অবকাঠামো উন্নয়নসহ নানাভাবে পিছিয়ে। আমি বলবো এটা দুখিনী নেত্রকোনা।
এখানকার যে ধরনের উন্নয়নের দরকার ছিলো তার কিছুই হয়নি। এখানে যেমন সম্ভবনা রয়েছে তেমনি সুযোগও রয়েছে।
এগুলোকে কাজে লাগাতে পারেনি। জেলা জুরে মানুষের চিত্ত বিনোদনের কোন ব্যবস্থা নেই। নেই সংস্কৃতি চর্চার জন্য পরিবেশ। একজন ডিসির তেমন বরাদ্দ থাকে না। ডিসিরা দায়িত্ব পালন করেন মাত্র। জেলায় ৫ জন এমপি। তাদের একজনও যদি ইচ্ছে করতেন তাহলে এই জেলাকে এবং শহকে উন্নত করে দিতে পারতেন। তিনি আশ্বাস দেন যতখানি পারেন চেষ্টা করে যাবেন।