বউ-শাশুড়ির দ্বন্ধের জেরে নেত্রকোনার মদনে ঘটে যাওয়া প্রতিবেশিসহ দুই হত্যাকান্ড। মামলা হয়নি একটিরও। গত (২৫ সেপ্টেম্বর) রবিবার রাতে ইমাম শফিকুল ইসলাম ও সোমবার বিকালে চিকিৎসাধীন মিনারা নিহতের ঘটনায় মঙ্গলবার পর্যন্ত নিহতের পরিবারের লোকজন থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি। ফলে এ ঘটনায় আটক হওয়া শরূফা আক্তার (৪৫) কে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠায় পুলিশ।
এদিকে বউ-শাশুড়ির দ্বন্ধে দুটি হত্যাকান্ডের ঘটনায় এলকার সব শ্রেনি-পেশার মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিচারের দাবিতে মঙ্গলবার রুদ্রশ্রী গ্রামের সড়কের সামনে ইমাম ওলামা পরিষদের উদ্যোগে ঘন্টা ব্যাপি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের রুদ্রশ্রী গ্রামের এলাল উদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেন তিন বছর আগে ফতেপুর মড়লপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে মুন্না আক্তারকে বিয়ে করেন।
রবিবার সন্ধ্যায় মুন্না আক্তার তার শ^াশুড়ি মিনারা আক্তারের সাথে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে ঝগড়া করেন। শ^াশুড়ির সাথে ঝগড়ার কথা বাবাকে জানান মুন্না আক্তার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মুন্না আক্তারের বাবা আব্দুল মান্নান অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে লোকজন নিয়ে রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে মেয়ের জামাইয়ের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় প্রতিবেশী শফিকুল ইসলাম (৬০) কে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। এসময় আরও অন্তত সাতজন আহত হয়। পরদিন আহত মোবারকের মা মিনারা আক্তার (৫০) সোমবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপতালে মারা যান।
এ দিকে ঘটনার পরেই রবিবার রাতে মুন্না আক্তারের মা শরূফা আক্তারকে আটক করে মদন থানার পুলিশ। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ না থাকায় সোমবার আটককৃত নারীকে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠায় পুলিশ।
নিহত ইমাম শফিকুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রহমান জানান, আমরা সবাই নিরীহ। বাড়িতে এসে আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। এখন কেমনে কি করবো বুঝতেছি না। আমাদের স্বজনদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিবো।
মদন থানার ওসি মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, দুই হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতদের স্বজনরা এখন পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ করেনি। আটককৃত এক নারীকে ৫৪ ধারায় আদালতে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।