সোমবার, জানুয়ারি ২০, ২০২৫
14 C
Netrakona
সোমবার, জানুয়ারি ২০, ২০২৫
মূলপাতাঅন্যান্যমদনে ভারপ্রাপ্ত ইএনওর বিরুদ্ধে বিএনপির ঝাড়ু মিছিল

মদনে ভারপ্রাপ্ত ইএনওর বিরুদ্ধে বিএনপির ঝাড়ু মিছিল

নেত্রকোনার মদনে নানা অভিযোগ তুলে ভারপ্রাপ্ত (ইউএনও) উপজেলা অফিসারের বিরুদ্ধে ঝাড়– মিছিল করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে মদন প্রেসক্লাবে গিয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনও করেন নেতারা।

সোমবার দুপুরে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল করে প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। এদিকে ইউএনও রেজওয়ান ইফতেকারের দাবি লটারি ছাড়াই ৬ জনের মধ্যে তাদের ৩ জনকে অনৈতিকভাবে ওএমএসের ডিলার নিয়োগ না দেয়ায় তাদের এই ধরনের কার্যক্রম। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।
জানা গেছে, মদন উপজেলা সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীদের একটি ঝাড়– মিছিল বের হয় উপজেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে। পরে মিছিলটি মদন প্রেসক্লাবে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে মদন উপজেলা বিএনপির সভাপতি নুরুল আলম তালুকদার, সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আকন্দ, পৌর বিএনপি সভপতি কামরুজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদির স্বাক্ষরিত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠ করা হয়।
লিখিত বিজ্ঞপ্তি পাঠ করে বিএনপির সভাপতি নুরুল আলম তালুকদার বলেন, ভূমি কর্মকর্তা রেজওয়ান ইফতেকার মদন উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা দায়িত্বে রয়েছেন। একই সাথে মদন পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি সরকারি নীতিমালা তোয়াক্কা না করে জলমহল ইজারা, ভূমি অফিসের বিভিন্ন কর্মকান্ডে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির করে যাচ্ছেন। তিনি মদন পৌরসভা মেয়রের প্রশাসকের দায়িত্বে থাকায় জনসাধারণের নাগরিক সেবা সঠিকভাবে দিচ্ছেন না। এছাড়াও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজের পরামর্শ চাইলে তাদের সাথে অসদাচরণ করেন।
এদিকে জানা গেছে গত ২২ অক্টোবর সাবেক ইউএনও বদলি হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব পান রেজওয়ান ইফতেকার। প্রায় ৪০ দিনের কর্মদিবসে তিনি একাধারে দায়িত্ব পান পৌর প্রশাসকের।
এ ব্যাপারে এউএনও বলেন, মাত্র ৪০ দিনে এতো অনিয়ম কিভাবে করলাম নিজেও জানিনা। তবে বিএনপির উপজেলা সভাপতি ক্ষিপ্ত হয়েছেন উনার পছন্দের তিনজনকে নিয়ম ছাড়াই ওএমএসের ডিলার নিয়োগ না দেয়ায়। মাত্র ৬ জন ডিলারের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ১৬ টি। যা রকারী নিয়ম অনুযায়ী উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে নিয়োগ হবে। সকল সেক্টরের প্রতিনিধি নিয়ে এই লটারি অনুষ্টিত হবে।
কিন্তু গত রবিবার সভাপতি মহোদয় সন্ধ্যার পর আমার এখানে এসে তিনজনকে ডিলার নিয়োগ দিয়ে বাকী ১৩ জনের মধ্যে লটারি করে বাকী ৩ জনের নিয়োগ দিতে চাপ দেন। বলেন বিএনপির কথায় দেশ চলছে আপনিও চলবেন। পরে বললাম এটি উন্মুক্ত লটারি আমি এভাবে দিতে পারিনা। এ নিয়ে তর্ক হলে আমি চলে যেতে বলি। এই হচ্ছে ঘটনা।

এই বিভাগের আরও সংবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

সর্বশেষ সংবাদ

Recent Comments