সোহান আহমেদ:
নেত্রকোনায় মাদক নিয়ন্ত্রণে সচেতনতার পাশাপাশি আইনের প্রয়োগ জরুরি বলে মনে করেন সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ। এদিকে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন মনে করেন সকলকে সচেতন হলেই বন্ধ হবে মাদকের ভয়াবহা।
মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার ও অবৈধ পাচারবিরোধী আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে নেত্রকোনায় র্যালি ও মাদক বিরোধী আলোচনা সভা ও বিভিণœ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। রবিবার বিকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি বের হয়ে পুনরায় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
পরবর্তীতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে মাদক বিরোধী আলোচনা সভায় জেলার সার্বিক তথ্য তুলে ধরে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক তাহমিনা ইয়াসমিন।
এসময় তিনি জানান, জেলায় মোট তিনটি নিরাময় কেন্দ্র কাজ করছে। এই তিনটিতে ৩০ টি বেডের বিপরীতে ২০২০ সনের জুন থেকে ২০২৩ সনের জুন পর্যন্ত ৬৯৩ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া সচেতনতার লক্ষ্যে স্কুলসহ বিভিন্ন ক্যাটাগড়িতে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে সভা সেমিনার করা হয়েছে।
পরে স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক রাফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধের উপর উন্মুক্ত আলোচনায় মাদকের ভয়াবহতা নিরসনে আইনের কঠোর প্রয়োগসহ নানা কর্মসূচি হাতে নেয়ার অনুরোধ জানান সমাজের বিভিন্ন স্থরের নেতৃবৃন্দরা। তবে নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মো ফয়েজ আহমেদের বক্তব্যে অভিবাবকসহ সকলকে সচেতন হতে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, পুলিশ প্রতিনিয়ত মাদক ধরছে। পাশাপাশি আইনশৃংখলা নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে কিন্তু সাংবাদিকসহ সুধীরা শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দিকেই আঙ্গুল তুলছেন।
জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, পিতামাতার অবহেলাই দায়ী মাদকাসক্ত হওয়ার। এর প্রতিরোধে সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। অভিভাবকদের সাথে সচেতনতা মূলক কাজ করতে হবে। জনপ্রতিনিধিসহ সকল মহলের দায়িত্ব রয়েছে। পিতামাতাকেই এগিয়ে আসতে হবে প্রতিরোধে। এছাড়াও সর্বোপরি মাদকের পাচার সহ ব্যবসা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নেত্রকোনা পৌর সভার প্যানেল মেয়র এস এম মহসীন আলম, প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব এডভোকেট হাবিবুর রহমান, বিজিবির সহকারী পরিচালক মো. আউয়াল হোসেন, জেলার জেল সুপার মো. আনোয়ারুজ্জামান, সাংবাদিক আলপনা বেগম, স্বপ্ননীড় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালক মো. মাহবুব আলম, তরি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের পরিচালক কামাল খান ও সুস্থ হওয়া মাদকসেবী কিশোর রাফাত প্রমুখ।
সাধারণ বক্তারা সীমান্তে খোলা বাজারে ভারতীয় পন্যবিক্রি ও মাদক পাচারে আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানান প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি।