বাংলা সাহিত্যের অমর কবি হেলাল হাফিজ। এই নক্ষত্রের বিদায়ে কবি প্রেমিদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করতে ময়মনসিংহ চেতনা সংসংদ মিলনায়তনে বীক্ষণ আসর ২১২৮ পর্বে কবি হেলাল হাফিজ কবিতার রাজপুত্র শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের আয়োজনে শুক্রবার সকালে কবি সাহিত্যিক সাংবাদিকরা কবি হেলাল হাফিজের জীবনাচার নিয়ে “জাগাইছে জনে জনে প্রজ্ঞাস্পন্দন” শীর্ষক আলোচনায় কবিকে মিছিলের কবি বলে আখ্যায়িত করেন। তারা বলেন রাজপুত্রের মতো বেঁেচছিলেন কবি হেলাল হাফিজ।
নিজেকে তিনি দুখের কষ্টের ভেতর প্রবেশ করিয়ে লিখেছেন- “এখন যৌবন যার যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়, এখন যৌবন যার মিছিলে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়। ” তিনি উনসত্তরের গণ অভ্যুত্থানের সময় তরুণদের মাঝে স্পৃহা তৈরী করেছিলেন। তিনি আগুন ঝরিয়ে দিয়েছিলেন রক্তে। তাই অনেকে বলে যুদ্ধে পাঠানোর কবি হেলাল হাফিজ। আর রাতারাতি পেয়ে গেলেন তারকা খ্যাতি। মাত্র একটি বইয়ের একটি কবিতায় এমন ঈর্ষণীয় জনপ্রিয়তায় কবি হয়ে উঠেন কাব্যের বরপুত্র। এই একটি বইয়ের জন্য তিনি পেয়েছেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার।
“নিষিদ্ধ সম্পাদকীয়” শিরোনামের এই কবিতা মিছিলের কবিতায় পরিচিত হয় গ্রামে গঞ্জে শহরে সর্বত্র। কবিকে বা কবিতার শিরোনাম না জানলেও হেলাল হাফিজের এ দুটি লাইন যেন সকলের মুখস্থ।
কবি সোহরাব পাশার সভাপতিত্বে বীক্ষণের আহŸায়ক স্বর্ণা চাকলাদার এ্যানির সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ময়মনসিংহ সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক কবি স্বাধীন চৌধুরী।
কবিকে নিয়ে অনুভূতি প্রকাশ করেন কবির কনিষ্ঠ সহোদার কবি নেহাল হাফিজ।
আলোচক হিসেবে কথা বলেন, কবি সাব্বির রেজা, কবি আসাদ উল্লাহ, কবি রওশন ঝুনু, সাংবাদিক আলপনা বেগম, কবি দালান জাহান। আলোচনা ছাড়াও কবির কষ্টের ফেরিওয়ালা কবিতা পাঠ করেন, কবি সজল ইয়াজদানী কোরাইশী।
পরে কবিতা পাঠের আসরে কবিতা পাঠ করেন, কবি মো. অহিদুর রহমানসহ অন্যরা।