হাওরাঞ্চলে শ্মশান ঘাটের উঁচু স্থানে পাওয়া গেল এক নবজাতক। এরপর শিশুর ছবি তুলে স্থানীয়রা অভিভাবকের খোঁজে ফেইসবুক পোস্ট করে। এমন ঘটনা নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার ধনু নদীর সন্নিকটে গাগলাজুর গ্রামের।
জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের গাগলাজুর গ্রামের চৌরাপাড়া শশ্মান ঘাট থেকে একটি নবজাতক উদ্ধার করেন এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। নবজাতকের বয়স একদিন বা দুইদিন হতে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুল তালুকদার।
এলাকাবাসী জানায়, স্থানীয় কেউ হয়তো কোন কারণে লোক লজ্জার ভয়ে নবজাতকের জন্ম নিয়ে বিপাকে। অবৈধ কোন সম্পর্কের ফলে হয়তো নবজাতকের জন্ম হয়ে থাকতে পারে। সেজন্যই ফেলে রেখে গেছে। তবে সময় মতো নবজাতকটি মানুষের চোখে পড়ায় বেঁচে গেছে। তা না হলে কোন বন্য প্রাণি নবজাতকটিকে খেলে ফেলতো।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুল তালুকদার জানান, মান্দারুয়া গ্রামের সরাজ মিয়ার স্ত্রী জয়বানু ও ছেলে তপন মিয়া ওই শম্মান ঘাটের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় নবজাতকটি তাদের চোখে পড়ে। উচু শশ্মান ঘাটটির চারদিকে পানি ঘেরা। আশপাশে কোন লোকজন না দেখায় তারা নবজাতকটি নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। পরে এলাকার লোকজন নবজাতকটির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করলে বিষয়টি সবার নজরে আসে।
মাসুল তালুকদার আরও জানান, নবজাতক শিশুটি মেয়ে। সম্পূর্ণ সুস্থ আছে বলে জেনেছি। রাত ১১টার পর্যন্ত নবজাতকটির মা-বাবার কোন সন্ধান মিলেনি।
এলাকার মানুষের ধারণা- লজ্জার ভয়ে কেউ হয়তো নিরব জায়গায় নবজাতকটি ফেলে গেছে। তবে সরাজ মিয়ার পরিবার নবজাতকটিকে নিজেদের কাছে রেখে সেবা করছেন। কৌটার দুধ খাওয়াচ্ছে। বুধবার সকালে গিয়ে নবজাতকটিকে দেখে তার লালন পালনের বিষয়ে করণীয় ঠিক করা হবে। কেউ দাবিদার না পেলে সরাজ মিয়ার পরিবার নবজাতকটিকে লালন পালনের দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
তিনি জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে নিয়মানুযায়ী নবজাতকের বিষয়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।