কে, এইচ, এম, নূরুল আলম কামাল, মদন
নেত্রকোনার মদনে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে জুয়েল মিয়া (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের বাঁশরী গ্রামের সিদ্দিকুর রহমান ও একই গ্রামের মিলন মাস্টারের গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০-২৫ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত জুয়েল মিলন মাস্টার গ্রুপের ও বাঁশরী গ্রামের সুলতু মিয়ার ছেলে।
আহতদের মধ্যে ফজলুল হক, রাফা উল্লাহ মোখলেছ মিয়া, চন্দন, জজ মিয়া, আবু হুরায়রা, নুরুদ্দীন ও আনোয়ার এর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতলে প্রেরণ করেন। অন্যরা মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।
আটকৃতরা হলেন, জানু মিয়া, রাহিম, সাজাদুল ও ফজলুল হক।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার কাইটাইল ইউনিয়নের কাইটাইল গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য নজরুল মিয়ার বাড়িতে যাত্রা গান অনুষ্ঠিত হয়।
ওই গানে সিদ্দিকুর রহমান গ্রুপের রোমান ও মিলন মাস্টার গ্রুপের মাহফুজের মধ্যে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে তর্ক বিতর্ক হয়।
এ ঘটনা নিষ্পত্তি করার জন্য বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় কাইটাইল বাজারে এক সালিশি বৈঠক বসেন।
বৈঠক শেষ হওয়ার আগেই দু’গ্রুপের লোকজন গ্রামের সামনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০-২৫ জন আহত হয়েছে।
পরে স্থানীয় লোকজন আহতদেরকে উদ্ধার করে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এদের মধ্যে নয়জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। ময়মনসিংহে যাওয়ার পথে জুয়েল মিয়া মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহতের ভাই জুবায়েদ।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
মদন থানার ওসি উজ্জ্বল কান্তি সরকার জানান, বাঁশরী গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে জুয়েল মিয়া নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমি ঘটনাস্থলে আছি। নিহতের পরিবারের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে।