মির্জা হৃদয় সাগর
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় ছোট ভাই ছবি আঁকার রঙ পেনসিল নিয়ে যাওয়ার রাগে তমা আক্তার (১৩) নামে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। আজ শুক্রবার (৪ অক্টোম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের আঙ্গারোয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে। তমা ওই গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। স্থানীয় বাঁশাটি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার বিকালে রংপেন্সিল নিয়ে ছোট ভাইয়ের সাথে রাগারাগি হয় তমা আক্তারের। পরে তার ভাইয়ের ব্যাপারে মায়ের কাছে নালিশ করলে মা তাকে ধমক দিয়ে শাসন করেন।
এরপর রাগ করে তার ঘরে চলে গেলে পরিবারে কেউ বিষয়টিকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। সন্ধ্যা পার হয়ে রাত হলেও কোন সারা শব্দ না পেয়ে তার শোবার ঘরে গিয়ে মা ডাকাডাকি করেন। মায়ের ডাকে সাড়া না দিলে আশেপাশের লোকজনকে ডাকাডাকি করে।
পরিবারের লোকজনসহ আশপাশের প্রতিবেশীরা এসে ঘরের দরজা ভেঙ্গে তমাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়।স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তমার বড় ভাই মেহেদী হাসান বলেন, তার বোন ছবি আঁকাআঁকি পছন্দ করতো। বৃহস্পতিবার বিকেলে বাড়িতে থাকা ছোট শিশুরা তার ছবি আঁকার রঙ পেনসিল নিয়ে যায়।
এ সময় সে মাকে শিশুরা নিয়ে যাওয়া পেনসিলগুলো এনে দিতে বলে এবং মা তাকে বাজার থেকে নতুন পেনসিল এনে দিবে বললে রাগে বসতঘরের নিজ কক্ষে চলে যায় তমা।
একপর্যায়ে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার কক্ষটি তালাবদ্ধ দেখে সন্দেহ হলে দরজা ভেঙে তমার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পাই। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জনান, খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পরবর্তীতে সুরতাল রিপোর্ট করে, সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ নেত্রকোনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। তবে পরিবারের দাবি আত্মহত্যা।