নেত্রকোনা জেলার মোট ৫ টি আসনে প্রার্থী রয়েছেন ২৭ জন। আওয়ামী লীগ: ৫ জন, জাতীয় পার্টি: ৫ জন, স্বতন্ত্র: ৮ জন ও অন্যন্য দলের ৯ জন। তার মধ্যে হভিওয়েট রয়েছেন ৩ জন।
তারা হলেন, নেত্রকোনা ২ (সদর-বারহাট্টা) আসনের নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, নেত্রকোনা ৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনের নৌকার প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান এমপি অসীম কুমার উকিল এবং নেত্রকোনা ৫(পুর্বধলা) আসনের নৌকার প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়মীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। তারা তিনজনই স্বতন্ত্র ঈগল আর ট্রাকের বেড়িকেডে রয়েছেন। ঝুঁকি রয়েছে তিনজনেরই।
জেলায় মোট ভোটার রয়েছে ১৮ লাখ ৯৬ হাজার ৮৬০ জন। তারমধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৬১ হাজার ৩৩৮ জন, নারী ভোটার ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৪৮৫ জন এবং হিজড়া ভোটার ৩৭ জন। তারা ১০ উপজেলার মোট ৬৭৩ টি কেন্দ্রের ৪১৯৯ কক্ষে ভোট প্রদান করবেন। এসকল কেন্দ্রের মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৪০, ঝুঁকিপূর্ণ ২৮৮ টি এবং সাধারণ ২৪৫ টি কেন্দ্র।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা জানান, সকল উপজেলায় সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। সেইসাথে ৮০৭৬ জন আসনার ভিডিপি মোতায়েন করা হয়েছে। নেত্রকোনা ১ আসনে ১৪৮৮, নেত্রকোনা ২ আসনে ২০৬৪, নেত্রকোনা ৩ আসনে ১৭৮৮, নেত্রকোনা ৪ আসনে ১৭৬৪ ও নেত্রকোনা ৫ আসনে ৯৭২ জন আনসার মোতায়েন করা হয়েছে।
জেলার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধান পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ জানান, জেলার ১০ উপজেলায় ১২ টি স্ট্রাইকিং ফোর্স আছে। ৫ টি আসনের মধ্যে নেত্রকোনা ১ আসনের কলমাকান্দা ও নেত্রকোনা ৩ আসনের কেন্দুয়ায় ২টি করে । অন্যান্য প্রতি উপজেলায় একটি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স আছে। স্ট্যান্ডবাই ৫ টি আসনে ৫ টি থকাবে। এছাড়া ৫ অসনে মোট ১৭৮১ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৮১ টি মোবাইল টিম, ডিবির ৬ টি টিম, সাদা পোশাকের গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকবে ৩৭ জন। র্যাব থাকবে প্রতি আসনে ৮০ জন করে। বিজিবি প্রতি থানায় এক প্লাটুন করে থাকবে।
এদিকে জেলা রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সেনাবাহিনী ১৬ প্লাটুন, বিজিবি ১৩ প্লাটুন থাকবে। অন্যদিকে নির্বাচনের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৬ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানা গেছে।