ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার জারিয়া রুটে ট্রেন চলাচলের লাইনের ক্লিপ খোলা দেখে স্টেশনের আগেই ট্রেন থামাল আনসার সদস্যরা। পরে লাইনের ক্লিপ লাগিয়ে পুনরায় ষ্টেশন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করে।
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনার পুর্বধলা জারিয়া রুটে ষ্টেশনের কয়েক কিলোমিটার আগে বালুঘাটা ব্রিজে লাইনের ক্লিপ নেই দেখে স্থানীয়রা। পরে বিষয়টি জেনে ট্রেনের লাইনে দাঁড়িযে আগেই আনসাররা ট্রেন থামান। পরে খবর পেয়ে স্টেশন মাস্টারসহ উপজেলা প্রশাসন গিয়ে লাইনে ১৪ টি ক্লিপ লাগানের পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করান। এর আগে লোকাল ট্রেনটি থামিয়ে সাময়িক দাঁড়ানোর পর আবারও ট্রেন স্টেশনে পৌঁছেছে। সকাল সাড়ে আটটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। তবে নাশকতার জন্য এমনটি হয়েছে বলে কেউ নিশ্চিত করেননি।
স্থানীয়সহ সংশ্লিষ্টদের ধারণা দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না হওয়ায় হয়তো ক্লিপগুলো পড়ে থাকতে পারে। এটি ক্ষতিয়ে দেখছেন বলেও জানান স্টেশন মাস্টার ও পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্র্মকার্তা। তারা বলেন কোন ধরেনর দূর্ঘটনা ঘটেনি। সাবধান থাকায় আগেই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তবে এর আগেই স্থানীয়রা বিষয়টিকে অস্বাভাবিক বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দিলে কিছুটা আতঙ্কিত হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তা জানান, পুরাতন লাইনের কোন মেরামত নেই। হাত দিয়ে ধরলেই খুলে চলে আসে। এগুলো হয়তো এক এক করে পড়ে গেছে। তখন নজরে আসেনি। এখন মঙ্গলবার সকালে এক জেলের নজরে আসে।
পুর্বধলা স্টেশন মাস্টার আব্দুল মোমেন জানান, ময়মনসিংহ থেকে নেত্রকোনার পুর্বধলা জারিয়াগামী লোকাল ২৭২ নং ট্রেনটি আসলে আনসার সদস্যরা লাইনের ক্লিপ খোলা দেখে ট্রেন বালুঘাটা এলাকায় থামায়। পরে খবর পেয়ে গিয়ে ক্লিক লাগিয়ে পুনরায় ট্রেন চলে। সাময়িক সময় লেগেছে। চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে বলেও জানান তিনি।
পুর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. খবিরুল আহসান জানান, খোলা ছিলো ক্লিপগুলো। অনেক পুরনো এই জায়গার লাইন। চোখে পড়ায় আমর তাৎক্ষনিক গিয়ে পরিদর্শন করে ১৪ টি ক্লিপ লাগিয়ে দিয়েছি। পরে এই লাইনে খুজে দেখেছি দুই জায়গায় মোট ৪০ টির মতো ক্লিপ নেই। পরবর্তীতে বাকিগুলো লাগানো হবে বলেও তিনি জানান।